খুলনায় ভোটের প্রচারে যাওয়ায় বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ

বিএনপি
বিএনপি

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছেন মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আরও ১৪ নেতা-কর্মী। ভোটের আগের দিন গতকাল রোববার খুলনা নগর বিএনপির সদস্যসচিব শফিকুল আলমের স্বাক্ষর করা নোটিশ ওই নেতা-কর্মীদের দেওয়া হয়।

মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব মো. মিজানুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এর আগে ৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রচারে অংশ নেওয়ায় ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। ভোটের দিন দলীয় নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রে না যেতে আহ্বান জানিয়েছে নগর বিএনপি। বিষয়টি তদারকের জন্য গোপন মনিটরিং সেল করা হয়েছে।

গতকাল নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন, ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. সাবু খন্দকার, খুলনা মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সাহেব আলী, ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক গোলাম সরোয়ার, ১০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মতিন, ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য মো. জামাল হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য ওয়াদুদ, মহানগর যুবদলের সদস্য মো. রাসেল, মহানগর মহিলা দলের তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শাহানাজ বেগম, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. পলাশ, ১৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির খান মাহবুবুর রহমান, মহানগর শ্রমিক দলের ইব্রাহিম খলিল মাছুম, ২২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. শাহিন শেখ।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ১৫ বছর ধরে ‘অবৈধ সরকারের’ বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে খালেদা জিয়া প্রায় পাঁচ বছর ধরে কারাভোগ করছেন। সরকার বিএনপির নেতা-কর্মীদের হত্যা, নির্যাতন এবং প্রায় ৫০ লাখ নেতা-কর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। এরই মধ্যে অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করে রাখা হয়েছে। এ সরকারের অধীন কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে খুলনা মহানগর বিএনপি খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না। অথচ দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছেন, যার প্রমাণ ইতিমধ্যে খুলনা মহানগর বিএনপির দপ্তরে এসেছে। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের দপ্তরে জমা দেওয়ার জন্য তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।