কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় বন্ধ থাকা রমনা মেইল ট্রেন চালু এবং রেলপথ মেরামতের দাবিতে ‘চিলমারী কমিউটার ট্রেন’ আটকে রেখে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ রোববার সকাল আটটার দিকে রমনা রেলস্টেশনে ‘চিলমারী, রৌমারী ও রাজীবপুর এলাকাবাসী’র ব্যানারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এ সময় এক ঘণ্টা ট্রেন আটকে রাখায় ওই কমিউটার ট্রেনের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বন্ধ থাকা রমনা মেইল ট্রেনটি আবার চালু করতে হবে। কারণ, বর্তমানে যে কমিউটার ট্রেনটি চালু আছে, সেটি সকাল আটটায় রংপুরে যায়। কিন্তু চিলমারীতে ফিরে আসে রাত ১২টার পর। এ জন্য ট্রেনটি প্রায় যাত্রীশূন্য থাকে। তবে রমনা মেইল (লোকাল) ট্রেন চালু হলে সকালে রংপুরে গিয়ে কাজ শেষ করে আবার দুপুরে ফিরে আসা যাবে। এতে সড়কপথে তাঁদের যে ব্যয় হয়, সেটা অনেকাংশে কমে যাবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের পরিবহনব্যয়ও কমে যাবে। তাঁরা দ্রুত ট্রেনটি চালু এবং রেলপথ মেরামতের দাবি জানান।
এ বিষয়ে কথা বলতে কুড়িগ্রাম রেলস্টেশনের মাস্টার শামসুদোহার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। রেল, নৌযোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির কুড়িগ্রাম জেলার সমন্বয়ক নাহিদ হাসান বলেন, ১৯৯০ সালের আগে চিলমারী থেকে কুড়িগ্রাম-পার্বতীপুর রেলপথে চারটি ট্রেন চলাচল করত। ২০০৬ সালে রমনা লোকাল নামের একটি ট্রেন চিলমারী থেকে পার্বতীপুরে চলাচল করত। কিন্তু করোনার সময় দিনে দুবার চলাচল করা রমনা লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। গত বছর গণকমিটির দাবির মুখে চিলমারী কমিউটার চালু হয়। কিন্তু চিলমারী কমিউটার দিনে একবার সকালে এবং রাতে একবার ফিরে আসায় তেমন যাত্রী থাকে না। এ জন্য এলাকাবাসী রমনা মেইল ট্রেনটি আবার চালু করার দাবি জানিয়েছেন।