ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে স্ত্রীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ফরিদুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন। ঢাকার ধামরাই উপজেলার বালিথা এলাকায় এসে চাকা ফেটে গেলে অ্যাম্বুলেন্সের নিয়ন্ত্রণ হারান চালক। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশের গাছে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফরিদুলও।
আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদুল ইসলামের (৩৪) বাড়ি পাবনা সদরের রাজাপুরে, তবে ঢাকায় থাকতেন। তাঁর শ্বশুরবাড়ি মানিকগঞ্জের ধানকোড়া গ্রামে।
মানিকগঞ্জের গোলড়া হাইওয়ে থানা–পুলিশ জানায়, আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে স্ত্রী সুলতানার মরদেহ নিয়ে মানিকগঞ্জের ধানকোড়া গ্রামে যাচ্ছিলেন স্বামী ফরিদুল ইসলামসহ কয়েকজন। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তাঁদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের চাকা ফেটে যায়। এতে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচামুখী লেন পরিবর্তন করে ঢাকামুখী লেনে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফরিদুল।
এ সময় অ্যাম্বুলেন্সে থাকা হেনা খাতুন ও রাইসুল ইসলাম আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। খবর পেয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানা–পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রূপল চন্দ্র দাস প্রথম আলোকে বলেন, সুলতানার বাবার বাড়িতে মরদেহ দাফনের জন্য মানিকগঞ্জ জেলার ধানকোড়া গ্রামে আনার সময় বালিথা এলাকায় তাঁদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় সুলতানার স্বামীও নিহত হন। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথভাবে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন শেষে মরদেহ উভয়ের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।