জয়পুরহাটে তরুণকে হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড

জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডের আদেশ পাওয়া দুই আসামিকে কারাগারে নেওয়া হচ্ছে
ছবি: সংগৃহীত

জয়পুরহাটে এক তরুণকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। মামলার প্রায় ১৫ বছর পর আজ বুধবার দুপুরে দ্বিতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার আলতাফনগর গ্রামের মো. কাফি (৫৫) ও সাদিকুল ইসলাম (৪৩)। রায় ঘোষণার সময় তাঁরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ব্যক্তির নাম সবুজ আলী (২৫)। তিনি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোচপুকুরিয়া গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২ আগস্ট সকাল সাড়ে আটটায় জয়পুরহাট সদর উপজেলার খঞ্জনপুর সাবরেজিস্ট্রি কার্যালয়ের পাশে বেড়িবাঁধসংলগ্ন একটি পাটখেতে এক যুবকের লাশ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জয়পুরহাট সদর থানা-পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাঁচা পাটের আঁশ গলায় প্যাঁচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় জয়পুরহাট সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) কাইয়ূম আলী বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।ময়নাতদন্তের পর লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়।

এদিকে পত্রিকায় লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা কোচপুকুরিয়া গ্রামের নিখোঁজ সবুজ আলীর স্বজনেরা জয়পুরহাট সদর থানায় এসে উদ্ধার হওয়া লাশের ছবি ও পরনের জামাকাপড় দেখে লাশটি শনাক্ত করেন।

পরে এ মামলায় সন্দেহভাজন তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর মধ্যে দুই আসামি মো. কাফি ও সাদিকুল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। পরে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অপর আসামি শহিদুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে আসামিরা সবুজ আলীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছিলেন।

জয়পুরহাট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক আবদুল লতিফ খান বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।