পিরোজপুর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন মহারাজ বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা নৌকা দিছে, আবার ইলেকশন কিসের? কিসের ইলেকশন? আর ইলেকশন যদি হয়, বুঝে নেবেন ইলেকশন কাহাকে বলে।’
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান গাজীর পক্ষে প্রচারণা চালাবেন জানিয়ে মহিউদ্দিন মহারাজ এসব কথা বলেন।
কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গতকাল শনিবার রাতে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম আবদুস সহিদ। সভায় মহিউদ্দিন মহারাজ প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, শিয়ালকাঠি ইউপি নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন আজ রোববার। ২৫ জুন প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। আগামী ১৭ জুলাই ইভিএমে ভোট গ্রহণ হবে। এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন জাতীয় পার্টির (জেপি) প্রার্থী ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিকদার দেলোয়ার হোসেন (বাইসাইকেল প্রতীক)। পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
মহিউদ্দিন মহারাজ আরও বলেন, সভায় অনেক বক্তা বলেছেন, তাঁরা কাউখালী থেকে সাইকেল বিতাড়িত করতে চান। শুধু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নয়, আগামী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সাইকেলকে বিতাড়িত করতে হবে। নৌকাকে বিজয়ী করে সাইকেলকে ভেঙেচুরে কঁচা নদীতে ফেলে দিতে হবে।
জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের উদ্দেশে মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ভোট নিয়ে এমপি হবেন। আবার আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ঠেকানোর জন্য সাইকেল দেবেন। এটার বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ।...এটা কাউখালী, ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদের আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না।’
জেপির প্রার্থী সিকদার দেলোয়ার হোসেনকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত করে মহিউদ্দিন মহারাজ বলেন, শিয়ালকাঠিতে নৌকাকে জয় এনে দিতে এবং সাইকেল বিতাড়িত করতে যা কিছু করতে হয় তিনি করবেন। সাইকেলের প্রার্থী অত্যন্ত ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। এই সাইকেলের রোষানলে পড়ে তিনি (সিকদার) যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন। সিকদার যেন দয়া করে বাড়ি চলে যান।
সিকদার দেলোয়ার হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা জেপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মিঞা বলেন, আনোয়ার হোসেন তো আওয়ামী লীগের জোটের সঙ্গে আছেন। তাই আওয়ামী লীগ নেতার বক্তব্য তাঁদের কাছে অপ্রত্যাশিত মনে হয়েছে। বিষয়টি তিনি দলের চেয়ারম্যানকে জানিয়েছেন।