পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু, ঈদের আনন্দ রূপ নিল বিষাদে

পানিতে ডুবে মৃত্যু
প্রতীকী ছবি

ঈদের আনন্দ উদ্‌যাপন করতে শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় নানাবাড়িতে এসেছিল ১২ বছরের শিশু রাজু চৌধুরী। তাকে পেয়ে নানা-নানিসহ অন্য স্বজনেরাও বেশ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। গতকাল রোববার বিকেলে উপজেলার ছয়গাঁও ইউনিয়নের আইজারা গ্রামের পুকুরে গোসলে নেমে পানিতে ডুবে মারা গেছে রাজু। এতে স্বজনদের ঈদের আনন্দ রূপ নিয়েছে বিষাদে। পরে গতকাল রাত ১০টার দিকে রাজুর লাশ নানাবাড়িতেই দাফন করা হয়েছে।

রাজু চৌধুরী আইজারা গ্রামের আবদুল খালেক হাওলাদারের নাতি। তার বাবা লোকমান চৌধুরী চাঁদপুরের মতলব এলাকার বাসিন্দা। রাজু পরিবারের সঙ্গে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বসবাস করত। গতকাল বড় ভাই মাহিমের সঙ্গে সে নানাবাড়িতে এসেছিল।

রাজুর নানা আবদুল খালেক হাওলাদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বাড়িতে ঈদে আনন্দের বন্যা বওয়ার কথা ছিল। সব ছেলেমেয়ে তাঁদের সন্তানদের নিয়ে বাড়িতে আসতে ছিল। সবাই মিলে কোরবানি করার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের প্রিয় নানাভাই এভাবে মারা যাবে, আমরা বুঝতে পারি নাই।’

পুলিশ ও স্বজনসূত্রে জানা যায়, ছয়গাঁও ইউনিয়নের আইজারা গ্রামের আবদুল খালেক হাওলাদারের মেয়ে ময়না বেগমের বিয়ে হয় চাঁদপুরের মতলব এলাকার লোকমান চৌধুরীর সঙ্গে। এই দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সন্তানদের নিয়ে এই দম্পতি গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় বসবাস করেন। সেখানে লোকমান চৌধুরী ব্যবসা করেন। তাঁর ছোট ছেলে রাজু চৌধুরী সেখানে একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করত। গতকাল বিকেলে রাজু নানাবাড়ির পুকুরে গোসল করতে নামে। সাঁতার না জানার কারণে সে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে রাজুর বাবা লোকমান ও মা ময়না বেগম ভেদরগঞ্জের আইজারা গ্রামে ছুটে আসেন। ছেলের নিথর দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা।

ভেদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিন্টু চন্দ্র মণ্ডল প্রথম আলোকে বলেন, রাজু নামের এক ছেলে নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় গতকাল রাতেই লাশটি পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।