বরগুনার তালতলী উপজেলার পায়রা (বুড়িশ্বর) নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ১৮ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার জেলে কুদ্দুস ঘরামির জালে মাছটি ধরা পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার তালতলী উপজেলার পায়রা নদীতে মাছ শিকারের জন্য নদীতে জাল ফেলেন জেলে কুদ্দুস ঘরামি। ভাটার টানে জাল তুলতে গিয়ে জালে বড় আকৃতির একটি কোরাল মাছ আটকে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী জহিরুল ইসলামের কাছে ১৫ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেন তিনি।
এর আগে গত মঙ্গলবার তালতলী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া সংলগ্ন পায়রা নদীতে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে সাড়ে ১৬ কেজি ওজনের কোরাল মাছ। মাছটি ১৫ হাজার ৬৭৫ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ছাড়া গত এপ্রিল মাসে বরগুনার বিষখালী নদীতে জেলের জালে ২৬ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ ধরা পড়ছিল। তখন মাছটি মাইকিং করে ২৬ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, পায়রা নদীতে সাধারণত দুই থেকে তিন কেজি ওজনের কোরাল মাছ পাওয়া যায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই নদীতে একই স্থানে দুটি বড় কোরাল পাওয়ার বিষয়টি খুবই আশ্চর্যজনক।
তালতলী তেঁতুলবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা শাহদাত হোসেন বলেন, পায়রা, বিষখালী নদীতে সচরাচর এত বড় মাছ ধরা পড়ে না। প্রায় সময় ৪-৫ কেজি ওজনের মাছ ধরা পড়ে। তবে সরকার বছরে অধিকাংশ সময় উপকূলীয় এলাকার নদ–নদীতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকার কারণে হয়তো নদীতে মাছ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণেই এত বড় বড় মাছ ধরা পড়ছে।
জেলে কুদ্দুস ঘরামি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আজ সকালে জোয়ারের সময় সাগর মোহনায় তেঁতুলবাড়ি এলাকায় নদীতে জাল ফেলে যথানিয়মে ভাটার সময় জাল তুলছিলাম। হঠাৎ করে জালে বড় কোরাল আটকে থাকতে দেখা যায়। পরে মাছটি স্থানীয় এক মৎস্য ব্যবসায়ীর কাছে ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি। সরকারের নিষেধাজ্ঞা সুফল হিসেবে এখন আমাদের নদীতে বড় বড় মাছ রয়েছে।’
বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, সরকার বিভিন্ন সময় সাগর এবং নদ-নদীতে মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। একই সঙ্গে অবৈধ জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় নদীতে মাছ বেড়েছে। এর সুফল হিসেবেই এত বড় কোরাল মাছ পায়রা নদীতে ধরা পড়েছে।