চিড়া-মুড়ি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বিএনপির নেতা-কর্মীরা খুলনার পথে

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে পৌঁছাতে সম্ভাব্য প্রতিবন্ধকতার কথা ভেবে চুয়াডাঙ্গা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দুই দিন আগেই খুলনার পথে রওনা দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দলের প্রস্তুতি সভা শেষে নেতা-কর্মীদের কেউ ট্রেনে, কেউ বাসে চড়ে রওনা দেন। সমাবেশের দিন খুলনায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধের আশঙ্কায় দলীয় নেতাদের পরামর্শে তাঁরা পানির বোতল, চিড়া-মুড়িসহ শুকনা খাবার সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছেন।

খুলনার গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মী এ তথ্য জানান। জেলা বিএনপির সদস্যসচিব শরীফুজ্জামান শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘সবাইকে আগে থেকেই নির্দেশনা দেওয়া আছে, প্রত্যেকে এক বোতল পানি ও শুকনা খাবার সঙ্গে নিয়ে রওনা দেবেন। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হওয়ার জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি। পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের আন্দোলন চলবেই।’

সবাইকে আগে থেকেই নির্দেশনা দেওয়া আছে, প্রত্যেকে এক বোতল পানি ও শুকনা খাবার সঙ্গে নিয়ে রওনা দেবেন। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হওয়ার জন্য আমরা রাজপথে নেমেছি। পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথের আন্দোলন চলবেই।
শরীফুজ্জামান শরীফ, সদস্যসচিব, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি

জেলা বিএনপির সদস্য খোন্দকার আবদুল জব্বারের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম। সদস্যসচিব শরীফুজ্জামানের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সদস্য মীর্জা ফরিদুল ইসলাম ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম। অনিন্দ্য ইসলাম চুয়াডাঙ্গার প্রস্তুতি সভা ছাড়াও দামুড়হুদা, দর্শনা ও জীবননগরে আরও চারটি পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

খুলনার মহাসমাবেশকে সফল করতে চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে

এসব পথসভায় অনিন্দ্য ইসলাম বলেন, ‘পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে খুলনায় যাওয়ার প্রক্রিয়া ক্ষণে ক্ষণে বদলে যেতে পারে। তবে নিজেদের নিয়তটা পরিষ্কার রাখতে হবে। নিয়ত পরিষ্কার থাকলে ইনশা আল্লাহ আমরা খুলনায় পৌঁছাব। হয়তো দুই ঘণ্টার পথ ট্রেন ছয় ঘণ্টা লাগাবে। তবু আমরা খুলনায় পৌঁছাবই। এরপরও যদি আমাদের চলার পথ কেউ রুদ্ধ করতে চায়, লড়াই করে তা রুখে দিতে হবে।’

অনিন্দ্য আরও বলেন, ‘সবাই জাতীয় পতাকা সঙ্গে নিয়ে খুলনায় যাবেন। জাতীয় পতাকা অনেক দুর্বল মানুষকে শক্তি জোগায়। জাতীয় পতাকা আপনার-আমার মধ্যে দেশপ্রেমকে জাগ্রত করে। সারা বিশ্বে জাতীয় পতাকা নিয়ে আন্দোলন পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সরকারের পেটোয়া বাহিনী বিভিন্ন জায়গায় মহড়া দিচ্ছে, মহড়া দেবে। আমরা বলেছি, আগামী ২২ তারিখে খুলনা বিভাগের মানুষ সব বাধা মোকাবিলা করে স্রোতের মতো খুলনায় পৌঁছাবে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য লড়াই করছি। এ লড়াইয়ে খুলনার সব শ্রেণি–পেশার মানুষ, রাজনৈতিক দর্শনের ঊর্ধ্বে থেকে সবাই আমাদের এই লড়াইয়ে শামিল হবে, ইনশা আল্লাহ।’