নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেনের গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় উল্টো ছাত্রলীগ মামলা করেছে। আজ সোমবার মামলার বিষয়টি জানাজানি হয়। সোনাইমুড়ী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা সজিবুল ইসলাম বাদী হয়ে গত শনিবার সোনাইমুড়ী থানায় মামলাটি করেন।
মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহর (বুলু) ছেলে মো. সানিসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার সজিবুল ইসলাম নামের এক ছাত্রলীগ নেতা হামলার অভিযোগে মামলা করেন। তবে এ মামলার কোনো আসামিকে এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
স্থানীয় কয়েকজন বিএনপি নেতা বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নোয়াখালীতে বিএনপির পদযাত্রায় যোগ দিতে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন গাড়িবহর নিয়ে সোনাইমুড়ী বাইপাস সড়ক হয়ে নোয়াখালী জেলা শহরে আসছিলেন। পথে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইশরাকের গাড়িবহরে হামলা চালান। একপর্যায়ে সেখানে একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং ছাত্রদল ও যুবদলের তিন নেতাকে মেরে আহত করা হয়। ঘটনার দুই দিন পর উল্টো বিএনপির ১৫০ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
মামলার বাদী ছাত্রলীগ নেতা সজিবুল ইসলাম দাবি করেন, ওই দিনের ঘটনায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের হামলায় তিনিও আহত হয়েছেন। এ জন্য তিনি মামলা করেছেন।
ওই মামলায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্ল্যার ছেলে বেগমগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মো. সানিকে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। বাকি উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোতাহার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রেজায়ে রাব্বি, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবুল মনসুর, সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, উপজেলা যুবদল সভাপতি জসিম উদ্দিন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজ ভূঁইয়া, পৌর যুবদল সভাপতি মারুফুর রহমান, উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি নাজিম উদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক নূর মোহাম্মদ সাদ্দাম, পৌর ছাত্রদল সভাপতি আলা উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সোহেল উদ্দিন।
নির্বাচনের আগে নোয়াখালীতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মাঠ ছাড়া করতে সরকার আবার বিএনপির নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপি সহদপ্তর সম্পাদক ও সোনাইমুড়ী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবাক লাগে, তারা হামলা চালাল, এরপর উল্টো আবার মিথ্যা মামলা দিল। ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীদের সন্ত্রাসী হামলা ও এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’