ময়মনসিংহে রওশন এরশাদের আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চান ছয়জন

রওশন এরশাদ
ফাইল ছবি

জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে টানা দুবার সংসদ সদস্য। এবারও তিনি এ আসনের প্রার্থী হবেন। জোটের কারণে ময়মনসিংহ সদর আসনে আওয়ামী লীগের কেউ নির্বাচন করেন না। তবে এবার এই আসনে আওয়ামী লীগের অন্তত ছয়জন নেতা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য কাজী আজাদ জাহান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ময়মনসিংহ সদর আসনটিতে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। রাজনৈতিক জোটের কারণে এবারও এই আসনে রওশন এরশাদ প্রার্থী হতে পারেন। রওশন এরশাদ মনোনয়ন পেলেও দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে আমরা তাঁর পক্ষে কাজ করব।’

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় এবারও ময়মনসিংহ সদর আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে রওশন এরশাদকেই মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এমন সম্ভাবনার কথা জেনেই আওয়ামী লীগের নেতারা দলীয় মনোনয়ন চেয়েছেন। সদর আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়া ছয়জন হলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহিত উর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাবেক মহাসচিব এম এ আজিজ, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফরামার্জ আল নূর রাজিব। এর বাইরেও মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকতে পারেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ময়মনসিংহ জেলা হচ্ছে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। এখানে জাতীয় পার্টি রাজনৈতিকভাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ নয়। রওশন এরশাদের পৈতৃক বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলায়। জোটে রওশন এরশাদ গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ময়মনসিংহে একাধিক আসন পেয়ে যায়। ময়মনসিংহ সদরে পরপর দুবার রওশন এরশাদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে অক্লান্তভাবে কাজ করেন। তবে ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি কখনোই ময়মনসিংহের জনগণের সামনে যাননি।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম বলেন, ‘জনশ্রুতি আছে, এবার ময়মনসিংহ সদর আসনে রওশন এরশাদকে মনোনয়ন দেওয়া না–ও হতে পারে। এ কারণে আমি আওয়ামী প্রার্থী হয়েছি। প্রার্থী হলেও শেষ পর্যন্ত যদি রওশন এরশাদকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, তাহলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে তাঁর পক্ষেই কাজ করতে হবে।’