রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান ওরফে মন্টু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে (বিএনএম) যোগ দিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে তিনি নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
মতিউর রহমান জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক থাকার আগে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ছিলেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির জন্য তিনি অনেক ত্যাগস্বীকার করেছেন। কিন্তু বিএনপি তাঁকে মনোনয়ন দেয়নি। তাঁকে মূল্যায়ন করেনি। বিএনপিতে এখন টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, তিনি বিএনএমের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছেন। রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসন থেকে নির্বাচন করতে চান তিনি।
এদিকে জাতীয় পার্টি থেকে বিএনএমে যোগ দেওয়া সাইফুল ইসলাম ওরফে রায়হান রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসন থেকে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি জাতীয় পার্টির চারঘাট থানার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরে বিএনএমের জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক হন। তিনি দু-এক দিনের মধ্যে মনোনয়নপত্র তুলবেন বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
বিএনএমের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাজশাহীর ছয়টি আসনেই প্রার্থী দেবে তাঁর দল। তবে কারা প্রার্থী হবেন, তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের বিএনপিদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রয়াত মন্ত্রী আমিনুল হকের ভাই অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিন বিএনএমের হয়ে নির্বাচন করতে পারেন বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দিনকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি। পরিচয় ও বিষয়বস্তু উল্লেখ করে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
শরীফ উদ্দিন বিএনপির স্থানীয় কমিটির ১০ টাকার ফরম পূরণ করে সদস্য হয়েছেন। তাঁর দলীয় কোনো পদ নেই। তবে আমিনুল হকের ভাই হিসেবে বিএনপিতে তাঁর গুরুত্ব আছে। পারিবারিক সূত্রে তিনি এলাকায় পরিচিত।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল শরীফ উদ্দিনের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, শরীফ উদ্দিন এটা করবেন না। মতিউর রহমানের এমপি হওয়ার শখ। তাই বিএনএমে গেছেন। তাঁর শখ মিটে যাবে।