আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এতে সাত-আটজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে দুটি পক্ষ। তবে পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিকের দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রায়ই তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও মারামারির ঘটনা ঘটে আসছে। দুই পক্ষই নিজেদের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচয় দেয়।
জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রলীগের সহসভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন, সুভাষ মল্লিক ও তাঁর অনুসারীরা দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। যার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাঁদের সঙ্গে নেই। তাঁর দাবি, সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জোর করে সংগঠনের কাজে নিয়ে আসেন। না এলে তাঁদের মারধর করেন। এ ছাড়া কলেজকেন্দ্রিক চাঁদাবাজি করেন তাঁরা। সংঘর্ষে তাঁর পক্ষের চার-পাঁচজন আহত হয়েছে বলে দাবি করেন সুভাষ মল্লিক।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক। তিনি বলেন, কলেজের কমিটি থাকার পরও বাইরের একটি পক্ষ কলেজে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। মনিরুল ও তাঁর অনুসারীরা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন। সংঘর্ষে তাঁদের তিনজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি। সুভাষ মল্লিক আরও বলেন, সভাপতি থাকা সত্ত্বেও মনির নিজেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পরিচয় দেন। কলেজে সন্ত্রাসী কার্যক্রমও পরিচালনা করে মনিরের গ্রুপ।
জানতে চাইলে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওয়ালী উদ্দিন আকবর প্রথম আলোকে বলেন, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।