দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌর শহরের আজাদ মোড়ের কাঁচাবাজার রোববার সকালে আলুশূন্য ছিল। ক্রেতারা আলু কিনতে এসে ফিরে যান। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুরে আলু বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
কাঁচাবাজারে আলু উধাও হওয়ার খবর পেয়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে বাজার তদারকিতে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান ও পৌরসভার মেয়র আবদুস সাত্তার। এ সময় তাঁদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের কথা হয়। পরে ব্যবসায়ীরা তাঁদের গুদামে লুকিয়ে রাখা আলু বের করে দোকানে প্রতি কেজি কার্ডিনাল আলু ৩৬ টাকা দরে বিক্রি শুরু করেন।
স্থানীয় ক্রেতাদের ভাষ্য, বাজারে দেশি জাতের আলু ৫০ থেকে ৫৫ টাকা ও কার্ডিনাল আলু ৪০ থেকে ৪৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। রোববার সকালে হঠাৎ করে বাজারে আলু উধাও হয়ে যায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চড়া দামে কেনা আলু সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করলে লাভ হয় না। তাই বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছিল। পাইকারি বাজার থেকে কার্ডিনাল জাতের আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়েছে। যাতায়াত, অন্যান্য খরচসহ আলু ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি না করলে তাঁদের লোকসান হবে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে আলুর কৃত্রিম সংকট তৈরির জন্য ব্যবসায়ীরা আলু লুকিয়ে রেখেছেন। খবর পেয়ে তাঁরা বাজার পরিদর্শনে যান। আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে প্রশাসনের উপস্থিতিতে দুপুরে আলু ব্যবসায়ীরা ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি শুরু করেন। ব্যবসায়ীরা এখন থেকে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামেই আলু বিক্রি করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।