চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় নিখোঁজের দুই দিন পর ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চিৎলা ইউনিয়নের চিৎলা-আইন্দিপুর এলাকার ছাতিয়ানতলা ভাইমারা খাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ব্যক্তির নাম আলমগীর হোসেন (৪১)। তিনি একই ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত আবদুস সাত্তারের ছেলে। স্বজনদের দাবি, গত বুধবার রাতে ব্যাটারিচালিত ভ্যানসহ আলমগীরকে অপহরণের পর গলায় রশি বেঁধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। পরে তাঁর লাশ ভাইমারা খালে ফেলে রাখা হয়।
নিহত আলমগীর হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বলেন, সাধারণত তাঁর স্বামী আলমগীর রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে বাড়িতে ফেরেন। বুধবার রাতে বাড়িতে না ফিরলে তাঁকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। ভালাইপুর গ্রামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ১৫ দিন আগে যাত্রী নিয়ে আলমগীরের সেজ ভাই জহুরুলের বিরোধ হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে আলমগীর উদ্যোগ নিলে ওই ব্যক্তি দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তাঁর ধারণা, ওই ব্যক্তিই দুর্বৃত্তদের দিয়ে আলমগীরকে অপহরণ ও খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।
আজ সকালে লাশের সন্ধান পাওয়ার পর চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান ও আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ গনি মিয়াসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। হত্যার রহস্য উন্মোচনে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), ঝিনাইদহ থেকে আসা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) একাধিক দলকে কাজ করছে।
নিহত আলমগীরের মা জহুরা খাতুন তাঁর ছেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। হত্যার রহস্য উন্মোচনে পুলিশ, ডিবি পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডির একাধিক দল কাজ করছে। তিনি আশা করছেন, শিগগির খুনিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।