নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বাড়ির সীমানায় জমে থাকা ময়লা পানির দুর্গন্ধ নিয়ে কথা–কাটাকাটির জেরে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে আটটার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বালিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম মো. খুরশিদ আলম (৬০)। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করেছে। একই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন বীজবাগ ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়াকান্দি গ্রামের কবির আহমেদ মাস্টার বাড়ির মো. শহীদ উল্যাহ (৬৫), তাঁর ছেলে মো. অলি উল্লাহ ওরফে শিমুল (২৮) ও পুত্রবধূ ফোরকানের নেছা (৩০)। আটক ব্যক্তিরা বর্তমানে সেনবাগ থানায় আছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য অনুযায়ী, খুরশিদ আলম ও শহীদ উল্যাহ প্রতিবেশী। দুজনের পরিবারের গোসল ও ধোয়ার কাজে ব্যবহৃত পানি বাড়ির সীমানার একই জায়গায় গিয়ে জমত। জমে থাকা ওই পানি ও ময়লার দুর্গন্ধ আশপাশে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে আজ সকাল পৌনে আটটার দিকে খুরশিদ আলম ও শহীদ উল্যাহর মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। একপর্যায়ে শহীদ উল্যাহ ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা অতর্কিতভাবে খুরশিদের ওপর হামলা চালান। তাঁরা কাঠের টুকরা দিয়ে পিটিয়ে খুরশিদের মাথা ফাটিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই খুরশিদ আলম মারা যান।
স্থানীয় লোকজন আরও জানান, ঘটনার পর আশপাশের বাড়ির বাসিন্দারা শহীদ উল্যাহ ও তাঁর ছেলে অলি উল্যাহকে তাঁদের ঘরের ভেতর আটকে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে ওই দুজনসহ একই পরিবারের আরেক নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত খুরশিদ আলমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শহীদ উল্যাহ, তাঁর ছেলে অলি উল্যাহ এবং পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহত ব্যক্তির পরিবারের লিখিত অভিযোগের পর পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।