সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদ এবং কোটাপদ্ধতি বাতিলের দাবিতে দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী অংশে অবরোধ করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বিকেল চারটায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় তাঁরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ফয়সাল বলেন, ‘কোটা প্রথার কারণে আমিসহ আমার বন্ধুরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। আমি কোটা প্রথা বাতিলের দাবিতে অবরোধে এসে সমর্থন জানাচ্ছি।’ আরেক শিক্ষার্থী মো. কামরুল হাসান বলেন, ২০১৮ সালে সরকার বলেছিল কোটা প্রথা সংস্কার করবে, তা করেনি। ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য আজ মহাসড়ক অবরোধ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অবরোধে সড়কে তীব্র যানজট দেখা দেয়। কোটবাড়ি এলাকার দুইপাশ মিলিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা দাউদকান্দি এক্সপ্রেস বাসের চালক মো. শাহাজাহান জানান, ৪০ মিনিট ধরে বাস থামিয়ে অপেক্ষা করছেন কখন আন্দোলন শেষ হবে, কখন যাত্রীদের নিয়ে ছেড়ে যাবেন।
ব্যবসায়ী মনোয়ার হোসেন জানান, দুর্ভাগ্যক্রমে ৪ জুলাই বৃহস্পতিবারও তাঁকে বহন করা বাসটি কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারীদের অবরোধে পড়েন। আজও তিনি একই জায়গায় আটকে পড়েছেন।
কোটবাড়ী অবরোধস্থলে আছেন সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়া খানম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ রাফাঈ আবিদ। ইউএনও বলেন, তিনি জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবরোধের ঘটনা জানিয়েছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কী নির্দেশ দেন, সে অপেক্ষায় আছেন।
সদর দক্ষিণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এমরানুল হক মারুফ জানান, তাঁরা শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।