সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিলা পরিচ্ছন্নতা নামে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাংলো, শহীদ মিনার ও অডিটরিয়াম এলাকার টিলা থেকে গাছগুলো কেটে ফেলা হয়।
বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই কৌশলে গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, কয়েক দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝোপঝাড় পরিষ্কারের নামে আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট-বড় মিলিয়ে অর্ধশতাধিক গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা গাছগুলো কেটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছুটিতে থাকার সুযোগে কৌশলে এসব গাছ কাটা হয়েছে।
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে গাছ কাটার খবর পেয়েছেন। তিনি প্রশিক্ষণের জন্য ঢাকায় অবস্থানের কারণে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তাদের পাঠিয়ে গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। এ ছাড়া বন বিভাগ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার ব্যাপারে কোনো অনুমতি নেয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা শাখার ভাষ্য, গাছের ডালপালাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করতে গিয়ে ছোট-বড় কিছু গাছ ভুল করে কাটা হয়েছে। কাটা গাছগুলো আসবাব তৈরিতে ব্যবহারের উপযোগী নয়। গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবে গজানো। কেটে ফেলা গাছগুলোর স্থানে নতুন করে বনদ ও ফলজ গাছ লাগানোর কথা আছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর জসিম উদ্দিন আহাম্মদের মুঠোফোনে ফোন করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। রেজিস্ট্রারের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলিমুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন করা হলে তিনিও ধরেননি।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আশফাক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, কাটা গাছগুলো আগাছা ধরনের। গাছগুলো লাগানো হয়নি। আপনাআপনি হয়েছে। কাটা গাছগুলোর স্থানে ফলদ ও বনজ গাছ লাগানোর জন্য এরই মধ্যে ২০০টি গাছ রাখা হয়েছে। আরও গাছ লাগানো হবে। তিনি আরও বলেন, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য ফুলের গাছসহ বিভিন্ন গাছ লাগানো হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিবেশ ও বন্য প্রাণীদের ব্যাপারে সচেতন। অপ্রয়োজনীয় গাছ কাটা নিয়ে কিছু মানুষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা করছে।