মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা হত্যাকাণ্ডে উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ৯ আসামি কারাগারে

কারাগার
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব খানকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম হালদারসহ ৯ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে মুন্সিগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ কাজী আব্দুল হান্নান এ নির্দেশ দেন।

অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম হালদারের ছোট ভাই ও কামারখাড়া ইউপির চেয়ারম্যান লুৎফর হালদার, টঙ্গিবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার, নজরুল ইসলাম হালদার (নাজির), রাসেল হালদার, যুবরাজ হালদার, এইচ এম বাবর হালদার (সবুজ), আবু কাউছার ও আনিছ হালদার।

এর আগে উচ্চ আদালত থেকে ওই ৯ আসামি ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন। আগাম জামিনের মেয়াদ শেষে আজ তাঁরা মুন্সিগঞ্জ সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মতিন বলেন, সোহরাব খান হত্যা মামলায় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম হালদারসহ ৯ জন উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক আজ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। আদালত তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

নিহত সোহরাব খান উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ও দিঘীরপাড় বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি ছিলেন। গত ৮ এপ্রিল দুপুর ১২টার দিকে পূর্ববিরোধের জেরে দিঘীরপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সামনে আসামিরা সোহরাব খানকে কুপিয়ে হত্যা করেন। ওই সময় সোহরাব খানের ছেলে জনি খানকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।

ওই ঘটনায় নিহত সোহরাবের ছোট ভাই মান্নান খান বাদী হয়ে আদালতে মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ১৬ এপ্রিল দুপুরে টঙ্গিবাড়ী থানাকে এফআইআর হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দেন। ওই মামলায় আসামি আসলাম হালদারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এ মামলার আরও তিন আসামি পলাতক।