চট্টগ্রামের একটি নামী রেস্তোরাঁ। রেস্তোরাঁটির ফ্রিজ খোলার পর দেখা গেল, সেখানে রাখা আছে বাসি ভাত। পাশে আগের দিনের ভেজে রাখা মুরগির মাংস ও গ্রিল রাখা ছিল। খাবারগুলো রাখা হয়েছিল যাতে ক্রেতারা এলে গরম করে পরিবেশন করা যায়। ফ্রিজে বাসি খাবার রাখার পাশাপাশি রেস্তোরাঁটিতে খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হতো অনুমোদনহীন রাসায়নিক, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।
সাদিয়াস কিচেন নামের নগরের জামালখান এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় দেখা গেল এমন চিত্র। আজ বুধবার সকালে নগরের বিভিন্ন বাজার ও দোকানে অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় সাদিয়াস কিচেনের জামালখান শাখায় গিয়ে বাসি ও ক্ষতিকর রং দেওয়া খাবার দেখতে পান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
এ অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযানে পণ্যের মোড়কবিধি লঙ্ঘন, নির্ধারিত মূল্য কেটে বাড়তি লেখা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রয় করায় রাতুল ড্রাগ হাউসকে ১৫ হাজার ও নিউ মনীষা ফার্মেসিকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ, সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার। এ সময় বাজারে বিভিন্ন পণ্যের দাম ও সরবরাহ তদারকি করা হয়।
উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ বলেন, খাবারে অনুমোদনহীন রাসায়নিক ব্যবহার ও ফ্রিজে বাসি রান্না করা খাবার সংরক্ষণের অপরাধে সাদিয়াস কিচেনকে লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওষুধের দোকানে অনিয়ম পাওয়ায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।