বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ, পরে পুকুরপাড় থেকে ব্যবসায়ীর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার

হত্যা
প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার জশুরগাঁও এলাকার একটি পুকুরপাড় থেকে সত্যরঞ্জন দত্ত (৬৪) নামের ওই ব্যবসায়ীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেন স্বজনেরা।

সত্যরঞ্জন দত্ত জশুরগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শ্রীনগর বাজারের এম রহমান শপিং কমপ্লেক্সের পূর্ব পাশে কুড়া-ভুসির ব্যবসা করতেন। তিনি শ্রীনগর উপজেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধীর চন্দ্র দত্তের বড় ভাই। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটনে তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত ব্যবসায়ীর স্বজন ও স্থানীয় লোকজন জানান, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দোকান বন্ধ করে বাজারের পাশের গ্রামে বাড়িতে ফেরেন সত্যরঞ্জন দত্ত। গতকালও দোকান বন্ধ করে বাড়ির দিকে চলে যান তিনি। তবে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে গেলেও তিনি বাড়িতে না পৌঁছানোয় স্বজনেরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত ১০টার দিকে একপর্যায়ে বাড়ি পাশের পুকুরপাড়ে সত্যরঞ্জনকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় স্বজনদের চিৎকারে আশপাশের লোকজনও ছুটে আসেন। তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান, তিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। সত্যরঞ্জন দত্ত তিন মেয়ের বাবা।

অধীর চন্দ্র দত্ত প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার দিকে তাঁর ভাবি বলছিলেন সত্যরঞ্জনের ফোন বন্ধ। পরে তাঁরা থানা ও হাসপাতালে খোঁজ নেন। এর মধ্যে বাড়ির পাশে সত্যরঞ্জনের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া যায়।

অধীর চন্দ্র দত্ত আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না। তিনি খুব সহজ-সরল মানুষ ছিলেন। বাড়ি থেকে দোকান এবং দোকান থেকে বাড়ি—এই ছিল তাঁর ঠিকানা। অথচ আমার ভাইকে কারা যেন নির্মমভাবে হত্যা করল। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।’

মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শ্রীনগর সার্কেল) মো. তোফায়েল হোসেন সরকার আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ব্যবসায়ীর শরীরের বিভিন্ন অংশে ছয়টি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কি কারণে, কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।