যশোরের মনিরামপুর উপজেলায় পরিত্যক্ত ঘরে কুড়িয়ে পাওয়া ককটেল নিয়ে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে এ ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আরও নয়টি অবিস্ফোরিত ককটেলসৃদশ বস্তু উদ্ধার করেছে।
আহত দুই শিশু হলো মাইমুন আহম্মেদ (৪) ও আরজু হোসেন (৮)। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাইমুন আহম্মেদ উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের বাবলু রহমানের ছেলে এবং আরজু হোসেন একই গ্রামের আসলাম সরদারের ছেলে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ও পুলিশ জানায়, উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামের মালয়েশিয়াপ্রবাসী মহিদুল ইসলামের টিন ও টালির একটি পরিত্যক্ত ঘর রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাইমুন আহম্মেদ ও আরজু হোসেন পরিত্যক্ত ঘরের পাশে খেলা করছিল। বেলা পৌনে একটার দিকে দুই শিশু ওই ঘরে লাল-কালো টেপ প্যাঁচানো কয়েকটি বলসদৃশ বস্তু দেখতে পায়। সেখান থেকে তারা একটি বলসদৃশ বস্তু কুড়িয়ে নেয়।
তারা খেলার ছলে বলসদৃশ একটি বস্তুর টেপ খুলতেই বিকট শব্দে সেটির বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মাইমুনের কোমর থেকে চোখ পর্যন্ত বিভিন্ন অংশ এবং আরজুর বাঁ হাতের আঙুল ঝলসে যায়। আরজুর দুটি আঙুলও বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শব্দ পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু দুই শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম মেহেদি মাসুদ বলেন, পরিত্যক্ত ঘরে কুড়িয়ে পাওয়া একটি ককটেল নিয়ে খেলতে গিয়ে সেটির বিস্ফোরণে দুই শিশু আহত হয়েছে। ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে নয়টি ককটেলসদৃশ বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।