শেখ হাসিনা
শেখ হাসিনা

মাদারীপুরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা

মাদারীপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী দিপ্ত দে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি হত্যা মামলা হয়েছে। এ নিয়ে এক মাসের ব্যবধানে শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ১২০টি মামলা হলো।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মাদারীপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী বাদী হয়ে হত্যা মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবির সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. শাহজাহান প্রথম আলোকে বলেন, শিক্ষার্থী দিপ্ত দে হত্যার অভিযোগে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলার আবেদন করা হয়। এতে ২৭ জনের নাম উল্লেখের পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। আদালত শুনানি শেষে সদর মডেল থানার ওসিকে মামলাটি নথিভুক্ত করতে নির্দেশ দেন।

নিহত দিপ্ত দে (২২) মাদারীপুর শহরের মাস্টার কলোনি এলাকার স্বপন দের ছেলে এবং মাদারীপুর সরকারি কলেজের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

মামলায় শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ছাড়াও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন মাদারীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) নূর-ই আলম চৌধুরী, মাদারীপুর-২ আসনের সাবেক এমপি শাজাহান খান, মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক এমপি আবদুস সোহবান গোলাপ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুনীর চৌধুরী, আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও শাজাহান খানের ভাই ওবায়দুর রহমান খান, শাজাহান খানের ছেলে সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসিবুর রহমান খান, মাদারীপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হোসেন।

মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১৯ জুলাই সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা শহরের শকুনি লেক এলাকায় এলে আসামিরা মাদারীপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী দিপ্তকে গুলি করে ও কুপিয়ে আহত করেন। পরে জীবন বাঁচাতে গিয়ে দীপ্ত লেকের পানিতে ঝাঁপ দেন। ওই দিন দুপুরে শকুনি লেক থেকে দিপ্তের লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় দীপ্তের পরিবার কোনো মামলা না করলেও সংক্ষুব্ধ হয়ে বাদী মামলার আবেদন করেছেন।