নোয়াখালী জেলা শহরের মাইজদী রেলস্টেশন প্ল্যাটফর্মের পাশে একটি কড়ইগাছ উপড়ে পড়েছে। এতে সারা দেশের সঙ্গে নোয়াখালীর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। এ কারণে সকালের উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন সোনাপুর স্টেশনে এবং নোয়াখালী এক্সপ্রেস ট্রেন বেগমগঞ্জের চৌমুহনী রেলস্টেশনে আটকা পড়েছে। তবে রেললাইন থেকে উপড়ে পড়া গাছ অপসারণের কাজ শেষ হলে ট্রেন দুটি নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টায় ছেড়ে যেতে পারেনি ঢাকা-নোয়াখালী রুটে চলাচলকারী একমাত্র ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস। একইভাবে সকালে কুমিল্লা থেকে নোয়াখালী এক্সপ্রেসও নোয়াখালীতে আসতে পারেনি। ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেক যাত্রী মাইজদী কোর্ট, সোনাপুর ও চৌমুহনী স্টেশনে আটকা পড়েছেন।
মাইজদী কোর্ট স্টেশনে কথা হয় মামুনুর রশীদের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ভোরবেলা তিনি ট্রেন ধরতে স্টেশনে আসেন। রেললাইনের ওপর গাছ পড়ায় ট্রেন ছাড়েনি। কর্তৃপক্ষ বলছে, গাছ অপসারণ হওয়ার পর ট্রেন ছেড়ে যাবে। তাই তিনি অপেক্ষায় আছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিশাল আকৃতির কড়ইগাছ উপড়ে পড়ে আছে প্ল্যাটফর্ম ও রেললাইনের ওপর। এতে পুরো রেললাইন বন্ধ হয়ে গেছে। গাছের একটি বড় অংশ গিয়ে পড়েছে পাশ দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ৩৩ হাজার কেভি ও ১১ হাজার কেভি লাইনের ওপর। এর ফলে ওই লাইনের বিদ্যুৎ সরবরাহও বন্ধ আছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিউবো) নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন বলেন, গাছ উপড়ে পড়ায় তাঁদের ৩৩ হাজার কেভি ও ১১ হাজার কেভি দুটি বিদ্যুৎ লাইন একসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মাইজদী রেলস্টেশনের পূর্ব পাশের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। রাত থেকে বিউবোর কর্মীরা লাইনটি সচল করার চেষ্টা করছেন। দুপুর ১২টা পর্যন্ত গাছ অপসারণ না হওয়ায় লাইন মেরামত করা সম্ভব হয়নি।
বেলা ১১টার দিকে মাইজদী কোর্ট স্টেশনের মাস্টার ফখরুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১২টার দিকে একটি বিশাল গাছ রেললাইনের ওপর উপড়ে পড়ে। এতে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। রাতেই বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়। সকালে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে দীর্ঘ সময় ধরে চেষ্টা করে গাছ অপসারণ করতে ব্যর্থ হন। পরে শ্রমিক ভাড়া করে গাছ কেটে কেটে অপসারণের কাজ শুরু করা হয়। গাছ অপসারণ শেষ হলে ট্রেন দুটি গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।