চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের  সংঘর্ষ হয়

শহীদ মিনারে উসকানিমূলক স্লোগান, বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে উসকানিমূল স্লোগানকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার দুপুর দুইটার দিকে ফৌজদারহাট কে এম উচ্চবিদ্যালয় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনকে সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এর মধ্যে চারজনকে উপজেলার ভাটিয়ারীতে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালে, একজনকে চট্টগ্রাম নগরের বেসরকারি হাসপাতাল আল আমিনে এবং দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আজ বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শোভাযাত্রা করে ফৌজদারহাট কে এম উচ্চবিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর তাঁরা ওই এলাকায় অবস্থান করছিলেন। বেলা একটার দিকে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হাসান তাঁর অনুসারীদের নিয়ে আরও একটি শোভাযাত্রা বের করে একই শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান। এ সময় উভর পক্ষের লোকজন উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। এতে কথা-কাটাকাটি শুরু হয়। এরপর উভয় পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে ১৩ জনকে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে জাহিদুল হাসানের পক্ষের লোকজন মহিউদ্দিনের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে।

জাহিদুল হাসান বলেন, যখন তাঁরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান, তখন সভাপতির পক্ষের লোকজন উসকানিমূলক স্লোগান দেওয়াতে সংঘর্ষ বাধে। বেলা তিনটার দিকে মহিউদ্দিনের লোকজন তাঁর ব্যক্তিগত গাড়ি ভাঙচুর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর পক্ষের লোকজন গিয়ে মহিউদ্দিনের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে বলে স্বীকার করেন তিনি।

তবে এ ব্যাপারে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. মহিউদ্দিনের বলেন, বেলা একটার দিকে জাহিদুল হাসানের পক্ষের লোকজন এসে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় তাঁর পক্ষের ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের বিবাদ শুরু হলে তাঁরা উভয় পক্ষকে বুঝিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু দুই পক্ষের উত্তেজিত লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ এখনো মামলা করেনি।