বেনজীরের রিসোর্টের কম্পিউটার চুরির অভিযোগে থানায় মামলা

সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক
ছবি: সাভানা রিসোর্টের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জব্দ করা গোপালগঞ্জের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যালয় থেকে কম্পিউটার চুরির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ওই পার্কের ব্যবস্থাপক মো. সারোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওই মামলা করেন।

গতকাল বুধবার রাতে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের ওই রিসোর্টের কার্যালয় থেকে কম্পিউটার চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে। ওই পাঁচ আসামি হলেন পার্ক এলাকর সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল, বিনোদ বিহারী বলের ছেলে বিপ্লব বল, মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের নটাখোলা গ্রামের ক্ষেপা মজুমদারের ছেলে সজীব মজুমদার, গণেশ রায়ের ছেলে সুব্রত রায় ও সুনীল সেনের ছেলে অনিমেষ সেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পার্কের ব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেন বুধবার রাত সাড় ১০টায় তাঁর কার্যালয় থেকে কাজ করে পার্কের মধ্যে অন্য একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। আজ সকাল নয়টায় কার্যালয়ে গেলে দেখেন, সেখানকার জিনিসপত্র এলোমেলো। সেখানে থাকা একটি মনিটর ও তিনটি সিপিইউ নেই। বিষয়টি তিনি ওই পার্কের তত্ত্বাবধায়ক গোপালগঞ্জের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী এবং গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল কাদেরকে মুঠোফোনে জানান। খবর পেয়ে গোপালগঞ্জের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক কর্মকর্তাসহ ওই দুই তত্ত্বাবধায়ক পার্কে যান।

গোপালগঞ্জের জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী এবং গোপালগঞ্জ দুদকের সহকারী পরিচালক মো. মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সকালে মুঠোফোনের মাধ্যমে পার্কের চুরি বিষয়ে জানতে পারি। সেখানে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে থানায় মামলা করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুদকের চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানালে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পার্কের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য একটি কমিটি করে দিয়েছে। কমিটির সিদ্ধান্তে আজ বিকেল থেকে ওই পার্কে নিরাপত্তার জন্য আনসার সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে পুলিশ সদস্যদের নিয়োগ দেওয়া হবে। আশা করি, এর পর থেকে এ ধরনের ঘটনা হয়তো ঘটবে না।’

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিচুর রহমান জানান, সাভানা ইকো রিসোর্টের চুরির ঘটনায় রিসোর্টের ব্যবস্থাপক সারোয়ার হোসেন মামলা করেছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে এবং এ ঘটনায় হওয়া মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।