গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাইয়ে খেলাপি ঋণের কারণে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আপিলে বিভাগীয় কমিশনারও তাঁর আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদলতে রিট করেন। সোমবার দুপুরে তাঁর রিট সরাসরি খারিজ করে দেন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলো তাঁর সঙ্গে কথা বলেছে।
প্রথম আলো: উচ্চ আদালতে আপনার রিট খারিজ হয়ে গেছে। আপনি এখন কী করবেন?
জাহাঙ্গীর আলম: আরও ছয়জন কাউন্সিলর প্রার্থী ঋণখেলাপি ছিলেন। আদালত তাঁদের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছেন; আমি ঋণখেলাপি না হলেও আমারটা আটকে দেওয়া হয়েছে। আমি আপিল করব; কিন্তু কতটুকু ন্যায়বিচার পাব এর কোনো গ্যারান্টি নেই।
প্রথম আলো: আপনার মা কি ভোটে থাকবেন, নাকি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন?
জাহাঙ্গীর আলম: আমার মা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না। তিনি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকছেন।
প্রথম আলো: রাজনৈতিকভাবে আপনি কি চাপে আছেন?
জাহাঙ্গীর আলম: আমি সবদিক দিয়ে চাপে আছি। সবদিক দিয়ে আমাকে চাপে রেখেছে।
প্রথম আলো: জেলা বা কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ বা কথা হয়েছে কি?
জাহাঙ্গীর আলম: জেলার কোনো নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়নি। তাঁরা তো কোনো ডিসিশন দিতে পারবেন না। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কোনো নেতার সঙ্গেও যোগাযোগ হয়নি।
প্রথম আলো: আপনার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী?
জাহাঙ্গীর আলম: দেখি কী হয়। আল্লাহ আমার কপালে যা রাখছেন, তা–ই হবে।
প্রথম আলো: আপনি জনপ্রতিনিধি ছিলেন। এবার নির্বাচন করতে পারলেন না। এখন কী করবেন?
জাহাঙ্গীর আলম: আল্লাহর ওপর ভরসা করছি। ভালো কিছু করার চেষ্টা করব। সরকার যদি চায়, তাহলে করতে পারব। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র না চাইলে তো পারব না।
প্রথম আলো: আপনার কর্মী–সমর্থকদের প্রতি আপনার ভাবনা এখন কী?
জাহাঙ্গীর আলম: তরুণদের জন্য একটি বাসযোগ্য, কর্মসংস্থানের শহর দিতে চেয়েছিলাম, শুরুও করেছিলাম। বয়স্ক ব্যক্তিদের একটি নিরাপদ শহর করে দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভাগ্য আমাকে বড় কঠিনভাবে চাপ দিয়ে ধরেছে। তবু চেষ্টা করব। না হলে আমার মায়ের মাধ্যমে স্বপ্নগুলো পূরণ করব।