কিশোরগঞ্জের তাড়াইল

কালভার্ট দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল

যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয় লোকজন। 

তাড়াইলের কাজলা চকপাড়া-চন্দ্রপুর বাজার গ্রামীণ সড়কের বক্স কালভার্টের ওপরের অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভেঙে গেছে রেলিংও। সম্প্রতি উপজেলার সেচুয়ারকান্দিতে
 ছবি: প্রথম আলো

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ কাজলা চকপাড়া-চন্দ্রপুর বাজার গ্রামীণ সড়কের সেচুয়ারকান্দি এলাকায় একটি বক্স কালভার্টের ওপরের অংশ ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া বছরখানেক আগেই ভেঙে গেছে কালভার্টটির রেলিং। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। তাই কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন স্থানীয় লোকজন। 

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জ, তাড়াইল ও হাওর–অধ্যুষিত ইটনা উপজেলার ১৫-২০টি গ্রামের লক্ষাধিক বাসিন্দা ওই কালভার্ট দিয়ে চলাচল করেন। ২৫-৩০ বছর আগে নির্মিত কালভার্টটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। বছরখানেক আগে কালভার্টটির এক পাশের রেলিং ভেঙে ও সংযোগ সড়কের মাটি সরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। এর মধ্যে যানবাহন চলাচলের কারণে গত মঙ্গলবার কালভার্টটির মাঝখানে ভেঙে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। 

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, বিকল্প সড়ক না থাকায় ওই ভাঙা কালভার্টের ওপর দিয়েই পথচারী ও যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এই কালভার্টের ওপর দিয়ে চলাচলকারী বয়োজ্যেষ্ঠ বাসিন্দা আশ্রাব আলী, ফজলু মিয়াসহ কয়েকজন বাসিন্দা প্রথম আলোকে জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে হাওরাঞ্চলের ইটনার কিছু এলাকা থেকে করিমগঞ্জের নিয়ামতপুর হয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ও যানবাহন সহজেই জেলা শহরে যাওয়া–আসা করতে পারে। এ ছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর, তাড়াইল উপজেলার কাজলা, সিংগুয়ারপাড়, সেচুয়ারকান্দি ও ইটনা উপজেলার চন্দ্রপুর, পাঁচকাহনিয়া, বড়িবাড়ি, খুর্শি, কিষ্টপুর, মাওরা এলাকার লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে থাকে এ সড়ক দিয়ে। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির এ বক্স কালভার্ট দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিদিন কয়েকটি
এলাকার হাজারো এই সড়ক দিয়ে মানুষ চলাচল করতে বাধ্য হন। চলে ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহনও। স্কুল-কলেজ–মাদ্রাসায় যাওয়া-আসা করে কয়েক শ শিক্ষার্থী। 

বছরখানেক ধরে কালভার্টের এ দুরবস্থা হলেও এটি সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকি নিয়েও যানবাহন চলাচলের কারণে গত মঙ্গলবার কালভার্টের মাঝখানের একটি অংশ ধসে পড়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাঙা অংশের পাশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তাই এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত সময়ে কালভার্টটি মেরামতে যেন কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের তাড়াইল উপজেলা প্রকৌশলীর চলতি দায়িত্বে থাকা মুহাম্মদ শফিউল্লাহ খন্দকার প্রথম আলোকে বলেন, খোঁজ নিয়ে বক্স কালভার্টটি মেরামতের উদ্যোগ নেবেন।