বগুড়ার শেরপুরে রাইসব্র্যান তেলের কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত চার শ্রমিকের বাড়ি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের অফিসার্স কলোনি ও হাতিখানা ক্যাম্প এলাকায় মাতম চলছে। তাঁরাই তাঁদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন।
নিহত ওই চার শ্রমিক হলেন সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা ক্যাম্পের মো. খলিলের ছেলে ইমরান হোসেন ওরফে লাড্ডু (৩২), একই এলাকার মৃত সোলেমানের ছেলে সাঈদ (৩৮), সৈয়দপুর শহরে অফিসার্স কলোনি এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে মো. মনির হোসেন (২৮) ও রুবেল আহমেদ (৩১)।
শুক্রবার সকালে নিহত ইমরানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনেরা আহাজারি করছেন। দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর পেয়ে আত্মীয়স্বজন, পাড়া–প্রতিবেশীরা তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে এসেছেন। এ সময় এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
ইমরানেরা তিন ভাই ও এক বোন। বাবা বৃদ্ধ। তাঁর আয়েই চলত পুরো পরিবার। ইমরানের ছোট ভাই মো. ওমর বলেন, এক সপ্তাহ আগে কাজ করতে বগুড়ায় যান তাঁর ভাই। তাঁর এক সহকর্মীর মাধ্যমে প্রথমে জানতে পারেন, ভাই ট্যাংক বিস্ফোরণে মারা গেছেন। খবর পাওয়ার পর তাঁদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে।
ইমরানের মতো নিহত সাঈদের (৩৮) বাড়িতে গিয়েও একই দৃশ্য দেখা যায়। সেখানেও মাতম চলছে। সাঈদের ছোট ভাই মো. জাহিদ বলেন, ইমরান ও সাঈদ একসঙ্গেই কাজের জন্য বগুড়ায় গিয়েছিলেন। একই ঘটনায় নিহত হয়েছেন মনির হোসেন ও রুবেল আহমেদ।
আজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর শহরের হাতিখানা কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়েছে। সৈয়দপুর উর্দুভাষী ক্যাম্প উন্নয়ন কমিটির নেতা মো. মোনায়েম বলেন, ইমরানসহ নিহত সবাই অত্যন্ত দক্ষ ট্যাংক মিস্ত্রি ছিলেন। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন তেলের কারখানায় তাঁরা কাজ করতে যেতেন।