কুমিল্লার দাউদকান্দি বলদাখাল থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ সকাল ৯টার দিকে গৌরীপুর এলাকায়
কুমিল্লার দাউদকান্দি বলদাখাল থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। আজ সকাল ৯টার দিকে গৌরীপুর এলাকায়

পণ্যবাহী ট্রাক উল্টে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট, যানবাহন চলছে ধীরগতিতে

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া ও কুমিল্লার দাউদকান্দিতে আজ বুধবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে গজারিয়ার মেঘনা টোল প্লাজা থেকে দাউদকান্দি টোল প্লাজা পর্যন্ত প্রায় ২৬ কিলোমিটারে যানজট দেখা দেয়। গতকাল মঙ্গলবার রাতে দাউদকান্দির শহীদনগরে পণ্যবাহী একটি ট্রাক উল্টে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ।

এদিকে আজ সকালে সড়ক থেকে ট্রাকটি সরিয়ে নেওয়ার পর যানজট কমতে শুরু করেছে। তবে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকেও যানজটের রেশ ছিল; যানবাহন চলছে ধীরে ধীরে।

দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বলেন, গতকাল দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রামগামী পণ্যবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাউকান্দির শহীদনগরে উল্টে যায়। দুই ঘণ্টা পর আজ ভোরে রেকার এনে মহাসড়ক থেকে ট্রাকটি সরানো হয়। এলোপাতাড়ি ও উল্টো পথে যানবাহন চলাচলের কারণে যানজট মহাসড়কের দাউদকান্দির গৌরীপুর থেকে মেঘনা-গোমতী সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটারে পৌঁছায়। দুপুর ১২টার পর গৌরীপুর থেকে শহীদনগর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট ছিল।

গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রিয়াদ হোসেন বলেন, প্রথমে চট্টগ্রামমুখী লেনে গাড়ির জটলা বাঁধে এবং যানজট শুরু হয়। কিছু যানবাহন ঢাকামুখী লেনে ঢুকে পড়লে যানজট আরো বেড়ে যায়। সকালে সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক থেকে দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাকটি সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর যানজট কমতে শুরু করে। বেলা ১২টার দিকে মহাসড়কে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসে।

এদিকে যানজটের কারণে এ পথে চলতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রী ও চালকদের। কুমিল্লাগামী একটি মাইক্রোবাসের চালক মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে মেঘনা টোল প্লাজা থেকেই যানজট পেয়েছি। ৫ মিনিটের পথ দেড় ঘণ্টায় ভবেরচর বাসস্ট্যান্ডে যাই। সেখানে আরো দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিল্লায় পৌঁছাতে পারি।’

নয়ন হোসেন নামে প্রাইভেটকারের যাত্রী বলেন, ‘সকালে প্রথমে কুমিল্লাগামী লেনে যানজট ছিল। সকাল ৯টার পর সেটি ঢাকামুখী লেনেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।’