স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য, হা–মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ। সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার বাসভবনে তিনি এ ঘোষণা দেন।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন ১১ জন। এর মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হককে দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।
নির্বাচনে প্রার্থিতা ঘোষণা করে এ কে আজাদ বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের জন্য নির্বাচন উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। সাধারণ মানুষ চায়, তিনি যেন নির্বাচন করেন। দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করার জন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ কে আজাদ আরও বলেন, ফরিদপুর একটি অবহেলিত অঞ্চল। এ অঞ্চলের শিক্ষা ও শিল্প নিয়ে কাজ করবেন তিনি। বিশেষ করে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মনোনয়নপ্রত্যাশী মো. ফারুক হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শহীদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য শাহ আলম, ফরিদপুর পৌর আওয়ামী লীগের একাংশের আহ্বায়ক মনিরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন, বদিউজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে রোববার ভাঙ্গা, সদরপুর, চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য, যুবলীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহকে।
নিক্সন নির্বাচন করবেন, এ কথা জানিয়ে তাঁর সমর্থক ফরিদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে নির্বাচন করতে সমস্যা নেই। মজিবুর রহমান এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
একই দিন নগরকান্দা-সালথা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন নগরকান্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন মিয়া। তিনি এ আসনে নির্বাচন করার জন্য দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। তবে প্রার্থী হিসেবে ওই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য শাহদাব আকবরের নাম ঘোষণা করা হয়।
নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে জামাল হোসেন মিয়া বলেন, ‘আমি এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করব। স্বতন্ত্র নির্বাচন করলে তাঁকে বাধা দেওয়া যাবে না বরং সহযোগিতা করতে হবে। জনগণের ওপর আমার আস্থা আছে। এলাকার জনগণ আমাকে ভালোবাসে। তাঁদের ভালোবাসাই আমার শক্তি। তা ছাড়া গত উপনির্বাচনে আমি দলের স্বার্থে সেক্রিফাইজ করে আমার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এ বিষয়টি এলাকার জনগণ ভালোভাবেই জানে।’