সিরাজগঞ্জের শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে গুলি করার ঘটনায় কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক রায়হান শরীফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিল্লাল ওই আবেদন মঞ্জুর করেন।
সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আজ দুপুরে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ৬ মার্চ রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।
৪ মার্চ বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের শ্রেণিকক্ষে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরাফাত আমিনের পায়ে গুলি করেন কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক রায়হান শরীফ। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৮১টি গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল্লাহ আল আমিন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় একটি এবং গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে অপর একটি মামলা করেন।
৫ মার্চ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ৭ মার্চ রায়হান শরীফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব দূর-রে শাহওয়াজ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, ‘রায়হান শরীফ (২১৩৮৯২), প্রভাষক (কমিউনিটি মেডিসিন), শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ, সিরাজগঞ্জ’কে ফৌজদারি অপরাধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধিমোতাবেক খোরপোশ ভাতাপ্রাপ্ত হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।’