সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিউল অর্ক। আজ বুধবার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সামিউল অর্ক। আজ বুধবার রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে

রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষরের পরও আতঙ্কে পরিবার

‘চাপের মুখে’ রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীন পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করলেও পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কে আছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আমিনা আবেদীনের ছেলে সামিউল অর্ক আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছেন, এখনো তাঁরা হুমকি পাচ্ছেন।

সামিউল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় থাকায় তাঁকে গত ৩১ জুলাই আটক করে নগরের মতিহার থানার পুলিশ। পরে দিবাগত রাত দেড়টা পর্যন্ত থানায় অবস্থান করে তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সামিউল অর্ক বলেন, তাঁর মা আমিনা আবেদীনকে সরকারি সিটি কলেজের অধ্যক্ষ পদ থেকে বিএনপি ও ছাত্রদল জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করেছে। আমেনা আবেদীন দায়িত্বে থাকাকালীন গতকাল মঙ্গলবার সকালে ছাত্রদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করেন। এর জেরে তাঁর মাকে পদত্যাগের ষড়যন্ত্র শুরু হয়।

সামিউল আরও বলেন, হুমকির মুখে বাধ্য হয়ে তাঁর মা পদত্যাগ করেন। তবে এখনো তাঁরা হুমকি দিচ্ছেন। এখন তাঁরা আতঙ্কে আছেন। এ ঘটনায় তাঁরা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।

এর আগে গতকাল দুপুরে রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীন পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করেন। তিনি অভিযোগ করে আসছেন, ছাত্রদল ও বিএনপির নেতা-কর্মীরা তাঁকে পদত্যাগে বাধ্য করেছেন। এতে তিনিসহ তাঁর ছেলে ও স্বামীকে মারধর করা হয়েছে।

ছাত্রদলের প্রতিবাদ

এদিকে ‘রাজশাহী সিটি কলেজের অধ্যক্ষকে মারধর, এরপর পদত্যাগে বাধ্য করলেন বিএনপি-ছাত্রদল নেতা’ শিরোনামে প্রথম আলোয় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কলেজ শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব এমদাদুল হক (লিমন)। তিনি দাবি করেছেন, সংবাদটিতে সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা তুলে আনা হয়নি। ছাত্রদলের পক্ষে কেউ অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেননি এবং পদত্যাগের আলটিমেটাম দেওয়া হয়নি। উল্টো অধ্যক্ষের ছেলেকে কলেজে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও করা হয়েছে। এতে অধ্যক্ষের ছেলের আঘাতে একজন আহতও হয়েছেন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: অধ্যক্ষের অভিযোগ ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে সংবাদটি করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বক্তব্যও রয়েছে।