পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রতিবেশীর ছাগল জবাই করে খাওয়ার অভিযোগে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার রাতে দুমকি থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে গতকাল বিকেলে উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আবু গাজীর ছাগল ওই আওয়ামী লীগ নেতা জোরপূর্বক জবাই করেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম রেজাউল হক ওরফে রাজন। তিনি দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক। রেজাউল হক মামলার বাদী আবু গাজীর প্রতিবেশী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল বিকেলে রেজাউল আবু গাজীর একটি খাসি ছাগল জবাই করেন। এ খবর পেয়ে আবু গাজী রেজাউলের বাড়িতে যান। এ সময় রেজাউল আবু গাজীকে গালাগাল করেন ও হুমকি দেন। ছাগলটির বর্তমান বাজারমূল্য ১২ হাজার টাকা হবে দাবি করেন আবু গাজী।
পরে আবু গাজী ওই দিন সন্ধ্যায় দুমকি থানায় মামলা করেন। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে রেজাউলকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় রেজাউলের বাড়ির ফ্রিজ থেকে পাঁচ কেজি পরিমাণ খাসির মাংস আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়।
তবে অভিযোগটি শত্রুতাবসত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল হকের পরিবার। রেজাউল হকের ভাই রাজীব হাওলাদার বলেন, প্রতিবেশীর ওই ছাগল প্রায়ই তাঁদের খেতে প্রবেশ করে ফসল নষ্ট করত। ছাগলটি বেঁধে রাখার জন্য আবু গাজীকে বলা হলেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। এ নিয়ে আবু গাজীর সঙ্গে কথা–কাটাকাটিও হয়েছে। গতকাল বিকেলে ছাগলটি আবার খেতের ফসল নষ্ট করতে এলে ছাগলটি তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় মাথায় আঘাত লেগে ছাগলটি ছটফট করছিল। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে তখনই চিন্তা করা হয়েছিল। তৎক্ষণাৎ উপায় না পেয়ে ছাগলটি জবাই করা হয়। কিন্তু এর আগেই এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তিনি শুনেছেন। অভিযোগ সত্য হলে অবশ্যই তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুস সালাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে রেজাউল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় রেজাউলের বাড়ির ফ্রিজ থেকে পাঁচ কেজি পরিমাণ মাংস আলামত হিসেবে জব্দ করা হয়েছে।