শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ের কয়েকটি গ্রামের গত দেড় সপ্তাহে অজানা বন্য প্রাণীর হামলায় ১০-১৫টি ছাগল মারা গেছে। এতে ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এই অবস্থায় গারো পাহাড় এলাকায় গবাদিপশু চড়াতে ভয় পাচ্ছে স্থানীয় লোকজন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো মানুষ এ হিংস্র বন্য প্রাণীর আক্রমণের শিকার হয়নি।
এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসন, বন বিভাগ ও কাংশা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোগে মাইকের মাধ্যমে সচেতনতামূলক প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতীর রাংটিয়া রেঞ্জের গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ।
বন বিভাগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাকাকুড়া, বাকাকুড়া নয়াপাড়া, গান্ধিগাঁও, হালচাটি, ছোটগজনী এলাকায় গত দেড় সপ্তাহে বন্য প্রাণীর হামলায় ১০-১৫টি ছাগল আহত হয়ে মারা গেছে। এসব গ্রামের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। গ্রামের মানুষ গবাদিপশু চরাতে ও খড়ি সংগ্রহ করতে গারো পাহাড় এলাকায় যেতে ভয় পাচ্ছে।
গান্ধিগাঁও গ্রামের শাহা আলী বলেন, গারো পাহাড়ে আগে ছিল বন্য হাতির আতঙ্ক। চার-পাঁচ দিন আগে স্থানীয় এক ব্যক্তি রাতের বেলায় বাঘের মতো একটি প্রাণী দেখেছেন। এলাকাবাসীর মনে বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে মানুষ ও বন্য প্রাণী (হাতি ও বাঘ) দ্বন্দ্ব নিরসন ও ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনের জন্য এক সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসন ও ময়মনসিংহ বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ আয়োজিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইগাতীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক আল মাসুদ। এতে বক্তব্য দেন বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) শরিফুল ইসলাম, গজনী বিট কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম আকন্দ, কাংশা ইউপির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রমুখ।
ইউএনও ফারুক আল মাসুদ বলেন, পাহাড়ে একটি অজানা বন্য প্রাণীর দেখা মিলেছে বলে স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানা গেছে। বন্য প্রাণীটি মানুষের যেন ক্ষতি করতে না পারে, আবার প্রাণীটিকেও মানুষ যেন হত্যা করতে না পারে, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান ও বন বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।