বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগে স্থগিত হওয়া চার বিষয়ের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। নতুন রুটিনে এই চার বিষয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে আগামী ১৩ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষাগুলো আগের রুটিন অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
আজ সোমবার দুপুরে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। স্থগিত হওয়া এই চার বিষয়ের পরীক্ষা আগের রুটিনে শুরুর দিকে ছিল। আগের রুটিনে এগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখগুলো হলো ৩০ জুন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, ২ জুলাই বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র, ৪ জুলাই ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও ৭ জুলাই ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র। এখন এই চার বিষয়ের পরীক্ষার পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি হলো ১৩ আগস্ট বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, ১৮ আগস্ট বাংলা (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্র, ২০ আগস্ট ইংরেজি (আবশ্যিক) প্রথম পত্র ও ২২ আগস্ট ইংরেজি (আবশ্যিক) দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আগের রুটিনে এই চার বিষয়ের পরীক্ষার পর ৯ জুলাই ছিল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা। এখন পুনর্নির্ধারিত সময়সূচিতে ৯ জুলাই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আবশ্যিক) বিষয়ের পরীক্ষা দিয়েই সিলেট বিভাগে মূলত এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। আগের রুটিন অনুযায়ী অন্যান্য বিষয়ের পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার পর স্থগিত হওয়া চারটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে (১৩ আগস্ট থেকে)।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বন্যা পরিস্থিতির কারণে সিলেট বিভাগের চার জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। গত ৩০ জুন ওই পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো যথারীতি হবে বলে তখন জানানো হয়। এখন স্থগিত হওয়া চার বিষয়ের পরীক্ষার নতুন রুটিন প্রকাশ করা হলো।
শিক্ষা বোর্ড-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের আওতাধীন বিভাগের চার জেলা। পুরো বিভাগের ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮২ হাজার ৭৯৫ পরীক্ষার্থী এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন। এর মধ্যে ৩৩ হাজার ৫৯০ জন ছাত্র এবং ৪৯ হাজার ২০৫ জন ছাত্রী। এর মধ্যে সিলেটে ৩৫ হাজার ৬২০, সুনামগঞ্জে ১৫ হাজার ৬৬৪, মৌলভীবাজারে ১৬ হাজার ৫০৮ ও হবিগঞ্জে ১৫ হাজার ৩ পরীক্ষার্থী আছেন। বিভাগের চার জেলায় মোট ৮৭টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৩৩টি, সুনামগঞ্জে ২২টি, মৌলভীবাজারে ১৪টি ও হবিগঞ্জে ১৮টি।
গত ২৯ মে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে বন্যা দেখা দেয়। ৮ জুনের পর বন্যা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসে। সবশেষ ১৭ জুন শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে সিলেটে দ্বিতীয় দফায় ও সুনামগঞ্জে প্রথম দফায় বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়। এতে সিলেট নগরের ২৪টি ওয়ার্ডসহ ১৩টি উপজেলা ও সুনামগঞ্জের ১৩টি উপজেলা কমবেশি প্লাবিত হয়। এ অবস্থায় আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি এক বিজ্ঞপ্তিতে সিলেট বিভাগের এইচএসসি, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে।
সিলেট বিভাগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার পুনর্নির্ধারিত সময়সূচি