টেকনাফে হত্যাকাণ্ডের শিকার আব্দির রহমান
টেকনাফে হত্যাকাণ্ডের শিকার আব্দির রহমান

টেকনাফে যুবককে গুলি করে হত্যা, পরিবারের অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে

কক্সবাজারের টেকনাফে হোয়াইক্যংয়ে আবদুর রহমান (৩০) নামের এক যুবককে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত যুবক উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়াপাড়ার বাসিন্দা মৃত আবদুস সালামের ছেলে।

গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা নয়াবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হত্যার আগে আবদুর রহমানকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের দাবি, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের যুবদল নেতা মুহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডে যুবদল নেতা মো. জাহেদ হোসেনসহ অনেকে অংশ নেন।

এলাকার লোকজন ও নিহত আবদুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা প্রথম আলোকে বলেন, বদি আলম নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে আবদুর রহমানের সন্ধ্যার দিকে কথা-কাটাকাটি হয়। এরপর আবদুর রহমান বাড়িতে চলে যান। পরে ফোন করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। যুবদল নেতা জাকারিয়ার নেতৃত্বে তাঁকে গুলি করে এবং দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়। গুলির শব্দ শুনে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ আবদুর রহমানকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন যুবদল নেতা জাকারিয়া, জাহেদসহ কয়েকজনের বসতঘরে আগুন দেন বলে জানান হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বাদশাহ মিয়া।

নিহত আবদুর রহমানের বোন নুর ফাতেমা বলেন, ‘আমার ভাইকে ফোন করে ডেকে নিয়ে আজগর আলীর ছেলে যুবদল নেতা জাকারিয়ার নেতৃত্বে হত্যা করা হয়। হত্যায় অংশ নেন অলি আহমদের ছেলে জাহেদ হোসেন, চৌকিদার নজির আহমদের ছেলে বদি আলম, নজির আহমদের ছেলে সাদ্দাম, তারেকসহ অনেকে। আমরা খুনিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি চাই। এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।’

হত্যার শিকার আব্দুর রহমানের স্বজনদের আহাজারি। আজ সকালে নিহতের বাড়ি থেকে তোলা

যুবদলের অভিযুক্ত নেতা মুহাম্মদ জাকারিয়ার ও মো. জাহেদ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।