নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রবিউল আওয়াল ওরফে শাওনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের সাতজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে রবিউলকে ময়মনসিংহ শহরের গাঙ্গিনাপাড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নেত্রকোনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ হওয়ার আগেই গত ৩০ জুলাই কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এর আগে ২০২১ সালের ২৬ জুন রবিউল আওয়ালকে সভাপতি এবং সোবায়েল আহমেদ খানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রলীগের এই আংশিক কমিটি গঠন করা হয়েছিল।
গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া অন্য নেতারা হলেন সদর উপজেলার চল্লিশা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জোবায়ের, একই ইউনিয়নের শ্রমিক লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম, পূর্বধলা উপজেলার বিশকাকুনি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, দুর্গাপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম, মোহনগঞ্জের সমাজ সহিলদেও ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম এবং বারহাট্টা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ কর্মী জাকির হোসেন।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আটক হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, স্থাপনা ভাঙচুর, লুটপাটসহ নাশকতার ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ আছে। এসব ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা আছে। মামলাগুলোতে তাঁদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ১৭ আগস্ট থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলায় নয়টি থানায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অন্তত ৩১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৩ হাজার ৪৫৭। এর মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৭০ জনের। আসামিদের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও নেত্রকোনা পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. নজরুল ইসলাম খান, কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আসাদুল হক ভূঁইয়া, বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খায়রুল কবিরসহ অন্তত ২১ জন নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন সময় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন।