শেরপুরের নকলা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা। আজ শনিবার দুপুরে বিহারিরপাড় এসইডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে
শেরপুরের নকলা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুস্থ ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির টাকা তুলে দিচ্ছেন অতিথিরা। আজ শনিবার দুপুরে বিহারিরপাড় এসইডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে

শেরপুরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা পেল বৃত্তির টাকা

শেরপুরের নকলা উপজেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৃত্তির টাকা বিতরণ করা হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে উপজেলার বিহারিরপাড় এসইডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস ফোরাম (ডাফ) ও লোকাল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (এলবিএনওএ ) উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তির টাকা দেওয়া হয়।

বৃত্তির টাকা বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রেজুয়ান।

অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক দিদারুল ইসলাম, উপসচিব মশিউল আলম, ডাফের সভাপতি ইকবাল মাহমুদ, সহসভাপতি মো. গোলাম রব্বানী, এলবিএনওএর সভাপতি ফুয়াদ মোহাম্মদ শরাফ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন আহমেদ, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় উপজেলার এসইডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয় ও পিছলাকুড়ি নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি হিসেবে নগদ ২ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে ডাফের সভাপতি ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশের অর্ধেক অঞ্চল ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে বিপুলসংখ্যক স্কুল পর্যায়ের সাধারণ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাই শুধু বন্যার সময়ে ত্রাণ বিতরণ নয়, বন্যাপরবর্তী সময়েও শিক্ষার্থীদের পুনর্বাসন করা প্রয়োজন। কারণ, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অনেক গরিব মা–বাবার সন্তানেরা আর্থিক সংকটে ভোগে। এতে তাদের পড়ালেখা ব্যাহত হয়। তাই আর্থিক অসুবিধার কারণে শিক্ষার্থীরা যাতে হতাশ না হয়, সে জন্য আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও উপকৃত হবে। আমরা আশা করি, গ্রামাঞ্চলের এসব শিক্ষার্থী ভবিষ্যতে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে এবং এ দেশের মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করবে।’

বৃত্তির টাকা পেয়ে খুব খুশি হয়েছে বিহারিরপাড় এসইডিপি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. ইব্রাহিম ও রিমি আক্তার। তারা বলে, ভয়াবহ বন্যার সময় তাদের ঘরে পানি উঠেছিল এবং ঘরের মূল্যবান জিনিসপত্রের সঙ্গে তাদের পাঠ্যবই ও খাতা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই এই বৃত্তির টাকা দিয়ে তারা শিক্ষা উপকরণ কিনবে।