মামলা
মামলা

পাথরঘাটায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে দুই বছর পর মামলা

বরগুনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামসহ (মনি) দলের নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুই বছর পর মামলা হয়েছে। নুরুল ইসলামের ভাতিজা মো. সোলায়মান বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (পাথরঘাটা চৌকি) মামলাটি করেন। নুরুল ইসলাম বরগুনা-২ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ইফরাত আহসান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমানসহ (রিমন) আওয়ামী লীগের ১০৫ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২০০ থেকে ৩০০ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আদালত মামলাটি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য পাথরঘাটা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে আইনজীবী ইফরাত আহসান বলেন, গ্যাস, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ২০২২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বরগুনার পাথরঘাটায় বিএনপির কর্মসূচি ছিল। ওই কর্মসূচিতে অংশ নিতে ৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে পাথরঘাটায় ঢোকার পথে রায়হানপুরের সিঅ্যান্ডবি এলাকায় নুরুল ইসলামসহ নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। নুরুল ইসলামের ওপর হামলা করে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা আপন ছোট ভাই ও পাথরঘাটা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ ঘনিষ্ঠ নেতাদের হত্যার চেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় পাথরঘাটা উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা–কর্মী গুরুতর জখম হন। নুরুল ইসলামকে অভ্যর্থনা জানাতে আসা বিএনপি নেতা–কর্মীদের ব্যবহৃত শতাধিক মোটরসাইকেল ছিনতাই ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

মামলায় বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান, বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি ফারজানা সবুর রুমকী, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাবির হোসেন, কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু ও পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আসাদুজ্জামান নাদিমসহ আওয়ামী লীগের ১০৫ নেতা–কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, তিনি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় যোগদান করেছেন। মামলার বিষয়টি শুনেছেন। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো কাগজ হাতে পাননি। পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।