দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকৌশলী স্বামীর অসাধু উপায়ে অর্জিত সম্পদ বৈধ করতে নিজের নামে রেখেছিলেন কোহিনুর বেগম। কিন্তু নিজের বৈধ আয়ের উৎস ছিল না। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কোহিনুর বেগমকে প্রধান আসামি করে মামলা করেছে। মামলায় তাঁর স্বামী প্রকৌশলী মো. শাহাদত আলীকেও আসামি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি উপস্থাপন করা হয়। আদালত মামলাটি তদন্তের আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গতকাল বুধবার দুদকের টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। দুদক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

মামলায় কোহিনুর বেগম ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে একে অপরের সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও অর্জিত সম্পদ বৈধ করার অসৎ প্রচেষ্টার অভিযোগ করা হয়েছে। শাহাদত আলী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। এর আগে তিনি টাঙ্গাইল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ছিলেন। তাঁরা টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার ভাওরা উত্তরপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে বলা হয়, ২০২৩ সালের ১৭ মে কোহিনুর বেগমকে তাঁর নিজের ও তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে-বেনামে অর্জিত স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ, দায়দেনা, আয়ের উৎস দাখিলের জন্য দুদক থেকে নোটিশ দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৩ সালের ১০ জুলাই দুদকের টাঙ্গাইল কার্যালয়ে তিনি সম্পদবিবরণী দাখিল করেন। এতে ২ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মূল্যের স্থাবর, ১৮ লাখ ৮২ হাজার ৫১২ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২ কোটি ৩৪ লাখ ৭১ হাজার ৫১২ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য দেন তিনি। তাঁর সম্পদবিবরণী যাচাই করে ১ কোটি ৫২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা আয়ের বৈধ কোনো উৎস খুঁজে পায়নি দুদক কর্তৃপক্ষ।

যাচাইকালে দুদক কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতীয়মান হয়, কোহিনুর বেগমের স্বামী শাহাদত আলীর অসাধু উপায়ে সম্পদ অর্জন করেছেন। সেই অবৈধ সম্পদ বৈধ করার জন্য উৎসবিহীন পরিমাণ সম্পদ কোহিনুর বেগম নিজের দখলে রেখেছিলেন। এ ছাড়া তাঁর স্বামী শাহাদত আলী ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৬৭৫ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদের তথ্য সম্পদবিবরণীতে গোপন করেন। শাহাদত জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৪৯ লাখ ৪৭ হাজার ১৫১ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জন করে নিজের দখলে রেখেছিলেন বলে দুদকের যাচাইকালে বেরিয়ে আসে।

দুদক টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নূর এ আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, আদালত মামলাটি তদন্তের আদেশ দিয়েছেন।