হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকালে গাজীপুর নগরের জিরানী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে
হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকালে গাজীপুর নগরের জিরানী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়কে

গাজীপুরে চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে এক কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ

হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেছেন। আজ শনিবার সকালে গাজীপুর নগরের জিরানী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর সড়ক অবরোধ করে তাঁরা বিক্ষোভ করেন। এতে সড়কের দুই পাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।

এদিকে আজ সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে খোলা থাকা কারখানাগুলোর শ্রমিকেরা কাজে গেছেন। তবে জেলার আটটি পোশাক কারখানা এখনো বন্ধ আছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ও বিক্ষোভকারী শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুর নগরের জিরানী এলাকার আইরিশ ফ্যাশন লিমিটেড নামে কারখানার শ্রমিকেরা আজ সকালে কাজে এসে প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হন। পরে তাঁরা হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকাল ৯টার দিকে কারখানার পাশের চন্দ্রা-নবীনগর সড়করে অবরোধ করেন। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে সড়কটি বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েন এই পথে চলাচলকারী যাত্রীরা। খবর পেয়ে শিল্প-পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আইরিশ কারখানার শ্রমিক আবিদ হোসেন বলেন, কয়েকজন কর্মকর্তা তাঁদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তাঁদের কারখানা থেকে চাকরিচ্যুত করতে হবে। এ ছাড়া হাজিরা বোনাস, টিফিন বিল ও বাৎসরিক ছুটির টাকা পরিশোধ করাতে হবে। তা না হলে এই বিক্ষোভ চলতেই থাকবে।

শিল্প পুলিশের ভাষ্য, গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগড়া, ইটাহাটা, কোনাবাড়ী ও কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকার শিল্প কারখানার শ্রমিকেরা দল বেঁধে আজ সকালে কারখানার কাজে যোগ দিয়েছেন। একটি কারখানা বাদে আজ সকাল সাড়ে ১০ পর্যন্ত জেলার আর কোথাও কোনো কারখানার শ্রমিকদের অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক আছে।

নগের ইটাহাটা এলাকায় কথা হয় শ্রমিক গোলাম মোস্তফার সঙ্গে। তিনি বলেন, তাঁদের কারখানায় এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। তবে আশপাশের কারখানার যখন ঝামেলা হয়েছিল, তখন তাঁদের কারখানাও ছুটি ঘোষণা করা হয়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের পরিদর্শক আবু তালেব বলেন, জিরানী এলাকার একটি কারখানা ছাড়া জেলায় আর কোথাও শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন কারণে জেলার আটটি কারখানা আজও বন্ধ আছে। শিল্প কারখানা সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে শিল্প পুলিশ। এতে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনী ও বিজিবি।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা কার্যালয়ের তথ্য মতে, পুরো জেলায় সব মিলিয়ে নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে ২ হাজার ৬৩৩টি। এর বাইরে অনিবন্ধিত কারখানা আছে প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০টি। এসব কারখানায় শ্রমিক কাজ করেন প্রায় ২২ লাখ।