লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার একটি শালবনে নিয়ে গিয়ে কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক ব্যবসায়ীর ছেলে ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথম ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করেন। পরে ওই ভিডিও দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার শালবনে নিয়ে তাঁকে কয়েকজন সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। গতকাল শুক্রবার ওই কলেজছাত্রীর বাবা ধর্ষণের অভিযোগে হাতীবান্ধা থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হচ্ছেন হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ গোতামারী গ্রামের আবদুর ছাত্তার (৩২), দইখাওয়া বাজার এলাকার রোকন (৩০), রাকিবুল ইসলাম (১৯), আল আমিন (১৯), রতন মিয়া (২৮), নওদাবাস এলাকার সুলতা (৪০)।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার এক কলেজছাত্রীর সঙ্গে উপজেলার দইখাওয়া বাজারের এক ব্যবসায়ীর ছেলের ও দক্ষিণ গোতামারী গ্রামের বাসিন্দা দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের এক পর্যায়ে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুর সাত্তার। আব্দুর ছাত্তার গোপনে বন্ধুকে দিয়ে মুঠোফোনের ক্যামেরায় ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে আব্দুর ছাত্তার ও তাঁর এক বন্ধু কলেজছাত্রীকে আবারও ধর্ষণ করেন।
এরপর গত বৃহস্পতিবার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই কলেজছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যান। সেখানেও আব্দুর ছাত্তার ও তাঁর বন্ধুরা ওই কলেজছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁরা তাঁকে সেখানে রেখে পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুন-নবী বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি ওই কলেজছাত্রীকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসার ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। তবে গ্রেপ্তার করা ওই ছয় ব্যক্তিকে আগামীকাল (রোববার) সকালে লালমনিরহাট আদালতে পাঠানো হবে।