অনুষ্ঠানে একাধিক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
শিক্ষকদের সম্মানিত করা হলে পুরো জাতি সম্মানিত হয়। শিক্ষকের যথাযথ মর্যাদা দিতে না পারলে দেশের যতই উন্নতি হোক, সেই উন্নয়নকে টেকসই বলা যাবে না। সেটি হবেও না। শিক্ষা খাত না এগোলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাও (এসডিজি) অর্জিত হবে না। জাতিকে শিক্ষিত করা, আলোকিত করার কাজটি এগিয়ে নেন শিক্ষকেরা। তাই তাঁদের সম্মাননা দেওয়ার মধ্য দিয়ে জাতি হিসেবে নিজেরাও সম্মানিত হতে পারি।
গতকাল শনিবার সকালে বরিশালে ‘আইপিডিসি-প্রথম আলো প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা–২০২২’ শীর্ষক আঞ্চলিক সুধী সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। নগরের এম এ জলিল সড়কে এবিসি ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
শিক্ষকেরা যদি দক্ষ হন, নৈতিকতায় পূর্ণ হন, তাহলে সে জাতি আর পিছিয়ে থাকবে না।আবদুল মোতালেব, সাবেক অধ্যক্ষ, বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের
সমাবেশে অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, সচেতন নাগরিক কমিটির বরিশাল জেলা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শাহ সাজেদা, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) বরিশাল নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মোফাজ্জেল সারোয়ার, আনোয়ার হোসাইন, বিএম কলেজের প্রভাষক শিশির চন্দ্র পাইক, বিএম স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. মোমিন হাওলাদার, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের প্রভাষক মো. দেলোয়ার হোসেন, বরিশাল জগদীশ স্বারস্বত বালিকা বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আসাদুল আলম, জমজম নার্সিং কলেজের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হক, বরিশাল সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক জেসমিন নাহার, বরিশাল জিলা স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান সরদার, আইপিডিসি ফাইন্যান্স লিমিটেডের যশোর অঞ্চলের ব্যবস্থাপক মো. জসিম উদ্দীন, ওয়ান ব্যাংকের কর্মকর্তা প্রদীপ বিশ্বাস, পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) স্বেচ্ছাসেবী মো. ওয়াহিদুজ্জামান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর বরিশালের নিজস্ব প্রতিবেদক এম জসীম উদ্দীন।
আবদুল মোতালেব বলেন, ‘শিক্ষকদের সম্মানিত করা মানে জাতিকে সম্মানিত করা। সমাজের প্রতিটি স্তরে যদি শিক্ষকেরা সম্মান পান, তাহলে জাতি হিসেবে অনেক উঁচুতে থাকবে আমাদের স্থান। শিক্ষকেরা যদি দক্ষ হন, নৈতিকতায় পূর্ণ হন, তাহলে সে জাতি আর পিছিয়ে থাকবে না।’
বক্তারা বলেন, প্রথম আলো শুধু পাঠকদের জন্য খবর প্রকাশ করেই বসে থাকে না। জাতি গঠন, মানবিক কাজ, দেশপ্রেমে নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করাসহ নানা কাজে প্রথম আলো নিজেদের আলো ছড়াচ্ছে। সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ প্রিয় শিক্ষক সম্মাননা। যখন দেশের শিক্ষকদের পদে পদে অবমূল্যায়ন, সে সময় এমন একটি উদ্যোগ নেওয়ায় প্রথম আলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তাঁরা।
সুধী সমাবেশে অধ্যাপক শাহ সাজেদা বলেন, ‘যে শিক্ষক শুধু ক্লাসের সিলেবাস অনুযায়ী পড়ান, তাঁদের কেউ চাইলেও মনে রাখতে পারেন না। যেসব শিক্ষক সিলেবাসের বাইরে ছাত্রদের চেতনা গড়ে দেন, সেসব শিক্ষককে আমরা মনে রাখি। কাজেই শিক্ষকদের শুধু সিলেবাস পড়ালে চলবে না।’
অনুষ্ঠানে একাধিক ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া প্রিয় শিক্ষক সম্মাননার মনোনয়ন জমা দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়।
বরিশাল বন্ধুসভার সদস্যরা এ অনুষ্ঠান আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করেন।