সিলেটে কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নগর ভবনের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। আজ রোববার দুপুরে নগর ভবনে
সিলেটে কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন নগর ভবনের কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। আজ রোববার দুপুরে নগর ভবনে

সিলেটে কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলার ঘটনায় ‘পেনডাউন’ কর্মসূচি পালন

সিলেটে কাউন্সিলরের বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেছেন সিটি করপোরেশনের ৪২টি ওয়ার্ডের ৫৬ জন পুরুষ ও নারী কাউন্সিলরেরা। পাশাপাশি সিলেট নগর ভবনেও এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচিকে ‘পেনডাউন’ কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন করপোরেশনের কর্মকর্তারা।

আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ‘কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় নগর ভবনের কর্মরতরা হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান নেন। হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেট নগর ভবনে এক জরুরি সভায় তিন দিনের কর্মসূচির ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. মখলিছুর রহমানের সভাপতিত্বে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে ছিল আজ দুপুর ১২টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ‘পেনডাউন’, ১ জুলাই টিলাগড় পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচি ও ২ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমানের বাসভবনে হামলার ঘটনায় এ প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করা হয়। আজাদুর রহমান সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে টানা পাঁচবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর এবং সিলেট নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বাসভবনে হামলার ঘটনায় গতকাল বিকেলে সিলেট শাহপরাণ থানায় মামলা করা হয়েছে। আজাদুর রহমান বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছে।

সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরাণ (রহ.) থানার পরিদর্শক ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বলেন, কাউন্সিলরের দায়েরকৃত মামলায় এজাহারভুক্ত হারুনুর ইসলাম (২২) নামের একজনকে গতকাল রাতে সিলেট নগরের টিলাগড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য আরও বলেন, কাউন্সিলরের করা মামলায় যাঁদের নাম আছে, তাঁদের মধ্যে চারজনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।