পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরে বিএনপি নেতা মো. খলিলুর রহমান এভাবে ফেস্টুন টানিয়ে নিজের বসতবাড়ি ফেরত পেতে প্রচারণা চালাচ্ছেন
পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরে বিএনপি নেতা মো. খলিলুর রহমান এভাবে ফেস্টুন টানিয়ে নিজের বসতবাড়ি ফেরত পেতে প্রচারণা চালাচ্ছেন

বাড়ি ফিরে পেতে মোড়ে মোড়ে বিএনপি নেতার ফেস্টুন

নিজের বসতবাড়ি ফিরে পেতে পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরজুড়ে ফেস্টুন টানিয়েছেন বিএনপির একজন নেতা। তিনি অভিযোগ করেছেন, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান জোর করে তাঁর জমি দখল ও দলিল করে নিয়েছেন।

এই বিএনপি নেতার নাম মো. খলিলুর রহমান ওরফে চুন্নু মিয়া। তিনি কলাপাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক। শহরের বিভিন্ন সড়কের মোড়ে টানানো এমন অভিনব ফেস্টুন গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে অনেকের নজরে পড়ে।

ফেস্টুনটিতে খলিলুর রহমান লিখেছেন, তিনি বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক। তাঁর বসতবাড়ি সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান জোর করে দখল ও দলিল করে নিয়েছেন। রাতের আঁধারে বসতবাড়ি দখলের সময় নারীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে ফেস্টুনে তিনি অভিযোগ করেছেন। জোর করে রেজিস্ট্রি দলিল সম্পাদন করে নেওয়া তাঁর বসতবাড়ি ফেরত পেতে তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সবার সহায়তা চেয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

কলাপাড়া পৌর শহরের কুমারপট্টি এলাকায় মো. মাহবুবুর রহমানের বাড়ি। তিনি পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর বাড়ি–লাগোয়া পশ্চিম পাশে ছিল উপজেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. খলিলুর রহমানের বসতবাড়ি। খলিলুরের অভিযোগ, ২০০৮ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মাহবুবুর রহমান তাঁকে বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা শুরু করেন। মাহবুবুরের পক্ষে ছাত্রলীগের কর্মীরা একাধিকবার খলিলুরের বসতবাড়িতে হামলা চালায় ও জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে খলিলুর রহমানকে পরিবারের সদস্যসহ বাড়ি থেকে জোরপূর্বক বের করে দেওয়া হয়।

খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বসতবাড়ি দখল হয়ে যাওয়ায় আমার থাকার কোনো জায়গা ছিল না। এ সময় আমি কলাপাড়া পৌর শহরের পূর্বদিকে বাদুরতলী বস্তি এলাকায় আশ্রয় নিই। এরপরও থেমে থাকেননি মাহবুবুর রহমান। আমি যাতে আমার বাড়িটি মাহবুবুর রহমানের নামে দলিল সম্পাদন করে দিই, এ জন্য তিনি সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাকে প্রতিনিয়ত চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সাব–রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে নামমাত্র মূল্যে আমার বসতবাড়ি মাহবুবুর রহমানের নামে লিখে দিই।’

গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর থেকে সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুবুর রহমান আত্মগোপনে আছেন। এ কারণে অভিযোগের বিষয়ে তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।