রাজবাড়ীতে আদালতের এজলাস থেকে আদালত চত্বরের গারদে নিয়ে যাওয়ার সময় গতকাল সোমবার দুপুরে এক আসামির ওপর হামলা চালিয়েছে কয়েক ব্যক্তি। এই ঘটনার পর হামলাকারী ব্যক্তিকে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে। কিন্তু ওই ব্যক্তি পালিয়ে যান।
ওই আসামির নাম রাহাত উদ্দিন বিশ্বাস (১৮)। তাঁর বাড়ি শহরের সজ্জনকান্দায়। আর হামলাকারীর নাম মো. শিমুল শেখ (২৭)। তাঁর বাড়ি বিনোদপুরের মেছোঘাটা গ্রামে। শিমুলের বিরুদ্ধেও কয়েকটি মামলা আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাহাতের মা মমতাজ চৌধুরী বলেন, চাঁদাবাজির এক মামলায় রাহাত ১০ মাস ধরে জেলহাজতে রয়েছেন। সোমবার দুপুরে তাঁকে রাজবাড়ীর সাব–জজ ২ নম্বর আদালতে আনা হয়েছিল। এজলাস থেকে বেলা একটায় পুলিশ পাহারায় তাঁকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। এ সময় শিমুলের নেতৃত্বে তাঁর ছেলের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। তাঁর ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। তাঁকে রক্ষা করতে গিয়ে পুলিশও কিলঘুষি খেয়েছে। এ ঘটনার পর হামলাকারী শিমুলকে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে। তবে শিমুল তাঁর পরনের গেঞ্জি খুলে পালিয়ে গেছেন।
মমতাজ চৌধুরী অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলের সঙ্গে শিমুলের পূর্ববিরোধ রয়েছে। কয়েক দিন আগে জেলখানায় রাহাতের সঙ্গে শিমুলদের পক্ষের এক ব্যক্তির ঝামেলা হয়। এসব ঘটনার কারণে তাঁর ছেলের ওপর এ হামলা চালানো হয়েছে।
এ বিষয়ে শিমুলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় আসামিকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় কিলঘুষি মারা হয়েছে। আসামিও তাঁকে কিলঘুষি মেরেছে। তবে পুলিশের গায়ে আঘাত করা হয়নি। পুলিশ হামলাকারীকে আটক করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাঁরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে।