চুয়াডাঙ্গায় আজ রোববার সকালে কিছু সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও একটু পরেই আবার কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যায়
চুয়াডাঙ্গায় আজ রোববার সকালে কিছু সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও একটু পরেই আবার কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যায়

‘শীতির কামড়ডা বেশি মনে হচ্চে’

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা চুয়াডাঙ্গায় টানা তিন দিন ধরে বয়ে চলেছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির পানির মতো ফোঁটা ফোঁটা ঘন কুয়াশা আর উত্তর থেকে ধেয়ে আসা কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জনজীবন অনেকটাই থমকে গেছে। আজ রোববার সকালে কিছু সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও একটু পরেই আবার কুয়াশায় চারপাশ ঢেকে যায়।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষক তহমিনা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের আলো বাধাগ্রস্ত হওয়ায় মেঘলা পরিবেশ। একই কারণে সূর্য তাপ ছড়াতে না পারায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে।

পৌর এলাকার হাটকালুগঞ্জে অবস্থিত প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কোনো এলাকায় তাপমাত্রা যদি ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকে, তাহলে ওই এলাকার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।

মৃদু শৈত্যপ্রবাহে চুয়াডাঙ্গায় মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শহরের ফেরিঘাট এলাকায় কথা হয় ভ্যানচালক শেলটন সরদারের সঙ্গে। পৌর এলাকার সরদারপাড়ার এই বাসিন্দা বলেন, ‘গ্যালোবারের চাইতি এবেড্ডা শীতির কামড়ডা বেশি মনে হচ্চে। দুটো পয়সা ইনকামের জন্নি বাজারে আসলিউ সেরাম প্যাসেঞ্জার পাওয়া যাচ্চে না।’

একই মহল্লার বাসিন্দা আশিক হোসেন পেশায় মৎস্যজীবী। তিনি বলেন, ‘পুকুরির পানি বরপের মতো ঠান্ডা। পুকুরি লাবলিই জমে যাওয়ার মতন অবস্তা। তাই এক-দু দিন পরপর মাছ ধরতি যাচ্চি। ডেলি পুকুরি লাবলি ঠান্ডায় মইরে যাতি হবে।’