ঝিনাইদহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার সকালে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে শহরের থানার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় থানায় বেশ কিছু ইটপাটকেল ছোড়ে। পরে তারা পৌরসভার দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে।
বিক্ষোভকারীরা ডাকঘর ও থানা লক্ষ্য করে ইট ছোড়ে। এ সময় একটি পুলিশ বক্সও ভাঙচুর করা হয়। পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ইটপাটকেলে এখন পর্যন্ত পুলিশের একজন সদস্যসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন। যাঁদের মধ্যে তিনজন রাবার বুলেট বিদ্ধ হয়েছেন বলে সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রেজাউল ইসলাম জানান। সংঘর্ষ চলাকালে ডিবি পুলিশের এসআই আরিফুজ্জামান ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন। শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে থাকা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও একটি পুলিশ বক্স ভাঙচুর করেন আন্দোলনকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, আন্দোলনকারীরা সকাল ১০টার পর থেকে ঝিনাইদহ শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলকারীরা জড়ো হতে থাকেন। বেলা ১১টায় থেকে মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড ঘুরে আবার শহরে প্রবেশ করার সময় থানার সামনে এলে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে থেকে থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পুলিশ থানার ভেতর থেকে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে এলাকাটি রণক্ষেত্রের পরিণত হয়। ছাত্ররা ইটপাটকেল ছোড়ে আর পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়তে থাকে।
প্রায় এক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ থানায় চলে যায় আর বিক্ষোভকারীরা শহরের পায়রা চত্বরে একত্র হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ প্রতিবেদন লেখার সময় বেলা দেড়টার দিকে তাঁরা সেখানে অবস্থান করছিলেন।