বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন
বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন

রূপপুর-বগুড়া গ্রিড লাইনে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন

পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য জাতীয় গ্রিডের বগুড়া উপকেন্দ্র পর্যন্ত সঞ্চালন লাইনের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ওই লাইনে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়। সফলভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) কর্তৃপক্ষ।

পিজিসিবির প্রধান প্রকৌশলী ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মাসুদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, জাতীয় গ্রিডের বগুড়া উপকেন্দ্র থেকে রূপপুর পর্যন্ত ৪০০ কেভি সিঙ্গেল সার্কিট সঞ্চালন লাইনে আজ পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা হয়েছে। এতে বড় কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। রূপপুর প্রকল্পের জন্য লাইনটি নির্মিত হলেও পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালন করেছে পিজিসিবি। লাইনটি হস্তান্তরের আগপর্যন্ত পিজিসিবি ও রূপপুর কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করবে।

রূপপুর ও পিজিসিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য কয়েকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রিড লাইনের প্রয়োজন। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রিডের কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণকাজ চলমান কয়েকটির। এর মধ্যে রূপপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত ৮৯ দশমিক ৯২ কিলোমিটার, রূপপুর থেকে বাঘাবাড়ি পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার গ্রিড লাইনের নির্মাণকাজ শেষ। রূপপুর-বাঘাবাড়ি লাইনের পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সঞ্চালনের পর এবার রূপপুর-বগুড়া লাইনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন হলো।

সূত্র জানায়, ওই ২টি লাইনের বাইরে রূপপুর থেকে গোপালগঞ্জ ১৪৪ কিলোমিটারের গ্রিড লাইনের নির্মাণকাজ চলমান। এই লাইন চালু করতে পদ্মা নদীতে দুই কিলোমিটার লাইন নির্মাণ করতে হবে। অন্যদিকে প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের জন্য রূপপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত ১৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ গ্রিড লাইন নির্মাণ করতে হবে। যার মধ্যে ১৪ কিলোমিটার যমুনা নদীর মধ্যে পড়েছে।

সঞ্চালন লাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মাসুদুল ইসলাম বলেন, গ্রিড লাইন নির্মাণের বাকি কাজ শেষ হলে অক্টোবরের মধ্যে তিনটি লাইন পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হলে রূপপুর-বাঘাবাড়ি লাইনের মাধ্যমে সঞ্চালন শুরু করা হবে। রূপপুর-বগুড়া লাইন তখন কার্যকর রাখা হবে। প্রয়োজনে লাইনটি ব্যবহৃত হবে।

নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২টি ইউনিটে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। প্রতিটি ইউনিট থেকে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়ার্ট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। সব প্রস্তুতি শেষ হলে এ বছরের ডিসেম্বরে প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।