গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া উপজেলার ঘোষেরঘাট সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র। সময় বেলা ১১টা ৩ মিনিট। একটি ভোটকক্ষে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার সামনে ব্যালট পেপার। তাতে সিল মারছেন একজন নারী ভোটার। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দুজন এজেন্ট। ওই চিত্র আজ বুধবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের।
আজ বুধবার প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। সকাল আটটায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বেলা চারটা পর্যন্ত। এখানে চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন।
উপজেলার পাটগাতি ইউনিয়নের শ্রীরামকান্দি গ্রামে ঘোষেরঘাট সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে তিনটি কক্ষ। একটি নারীদের, অন্য দুটি পুরুষদের জন্য। নিচতলায় নারীদের জন্য নির্ধারিত ভোটকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা শিউলি পারভীনের সামনে টেবিলের ওপর ব্যালট পেপার রাখা। সেখানে ব্যালটে সিল মারছেন একজন নারী। পাশে দাঁড়িয়ে আছেন দুই জন প্রার্থীর দুই এজেন্ট।
প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে শিউলি পারভীন কোনো উত্তর দেননি।
এর আগে সকাল ৮টা ৫৬ মিনিটে দোতলায় পুরুষ ভোটারদের কক্ষে গিয়ে দেখা যায়, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার টেবিলে ব্যালট রেখে সিল মারছেন এক ভোটার। এ সময় প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কক্ষে প্রবেশ করেন। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে ওই ভোটারকে গোপন বুথে গিয়ে ভোট দিতে বলেন।
এ সম্পর্কে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আশীষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘ওই ভোটার বয়স্ক। তাই তিনি গোপন কক্ষে না গিয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার টেবিলে ভোট দিয়েছেন। এ রকম যাতে আর না ঘটে, সে জন্য আমরা অন্য ভোটারদের সতর্ক করেছি। আমি একদিকে এলে অন্য দিকে ঝামেলা হয়।’
নারী ভোটকক্ষে অনিয়মের বিষয়ে আশীষ কুমার মজুমদার বলেন, ‘এ বিষয়ে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শিউলী পারভীনকে কয়েকবার সতর্ক করা হয়েছে।’
পাটগাতি ইউনিয়নে নির্বাচনী দ্বায়িত্বে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শপথ বৈরাগী বলেন, ‘বিষয়টি গণমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সেখানে গিয়ে সরেজিমন পরিদর্শন করেছি।’